অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে রাজপথে পিংক ফ্লয়েডের রজার ওয়াটারস

ফিচার ডেস্ক

ব্রিটিশ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রজার ওয়াটারস উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে যোগ দিলেন। কারাগারে বন্দি অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে গত শনিবার লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে আয়োজিত এক সমাবেশে শত শত বিক্ষোভকারীর সঙ্গে রজার ওয়াটারস শামিল হন। সময় তার সঙ্গে আরো ছিলেন ডিজাইনার ভিভিয়েন ওয়েস্টউড। গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি প্রকাশের দায়ে অভিযুক্ত উইকিলিকসের প্রধান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে লন্ডনের আদালতে এক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর উইকিলিকস একের পর এক গোপন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে ওয়েবসাইটটি আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার শ্রেণীবদ্ধ নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এরপর অবৈধ উপায়ে তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গ্রেফতার এড়াতে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ৪৮ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে একুয়েডরের দূতাবাসে দীর্ঘ সাত বছর রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। গত বছরের এপ্রিলে সেখান থেকে তাকে লন্ডনের পুলিশ গ্রেফতার করে। আনীত অভিযোগ প্রমাণ হলে অ্যাসাঞ্জকে কয়েক দশক পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হতে পারে। যদিও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


এদিকে রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় গত শনিবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের রাস্তায় জড়ো হয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। বিক্ষোভকারীরা সময় বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জ যা করেছেন তা সাংবাদিকতারই অংশ। আর সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়। তাই তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সময় বিক্ষোভকারীরা উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সমর্থনে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

অন্যদিকে সম্প্রতি অভিশংসন নিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে কথা বললে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করে দেয়া হতো বলে দাবি করেছেন আইনজীবী অ্যাডওয়ার্ড ফিতজেরার্ল্ড। তিনি বলেন, অ্যাসাঞ্জকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমা করতে চেয়েছিলেন। তবে শর্ত রেখেছিলেন, অ্যাসাঞ্জকে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় -মেইল ফাঁসের সঙ্গে রাশিয়া সম্পৃক্ত ছিল না, মর্মে স্বীকারোক্তি দিতে হবে।

 

সূত্র: রয়টার্স গার্ডিয়ান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন