বার্ষিক ব্যয় ১ ট্রিলিয়ন পাউন্ড ছাড়াবে ব্রিটিশ সরকারের

বণিক বার্তা ডেস্ক

বার্ষিক ট্রিলিয়ন পাউন্ডের বেশি সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্যে সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ বাজেটের আগে গতকাল এক প্রতিবেদনে কথা জানিয়েছে ব্রিটেনের একটি থিংক ট্যাংক। খবর গার্ডিয়ান।

২০২৩-২৪ সালের মধ্যে সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রিলিয়ন পাউন্ডের সীমারেখা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক দ্য রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আসন্ন বাজেট উত্থাপন প্রস্তুতির মধ্যে গতকাল প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে রেজল্যুশন ফাউন্ডেশন। ধারণা করা হচ্ছে, -যাবত্কালের মধ্যে কনজারভেটিভ সরকারের সবচেয়ে বিস্তৃত বাজেট প্রস্তাব হতে যাচ্ছে এটি। উল্লেখ্য, আগামী ১১ মার্চ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চলতি পার্লামেন্টের শেষ নাগাদ সরকার ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির প্রায় ৪০ শতাংশ করতে পারে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের লেবার সরকারের পূর্ববর্তী আমলের সরকারি ব্যয় স্তরে ফিরে যাবে ব্রিটেন।

রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের অর্থনীতিবিদ জ্যাক লেসলি বলেন, পরিকল্পনা টরি পার্টির (কনজারভেটিভ পার্টি) প্রচলিত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের ধারণায় একটি বড় পরিবর্তন ঘটাবে। অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে অর্থমন্ত্রীর বৃহৎ ব্যয় পরিকল্পনা ব্রিটেনকে টনি ব্লেয়ারের শাসনামলের চেয়ে আরো বৃহৎ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাবে।

এদিকে অতিরিক্ত ব্যয়ের অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার কর বৃদ্ধি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে থিংক ট্যাংকটি।

মূলত নির্বাচনের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যয় বাড়ানোর দিকে হাটছে বরিস জনসনের সরকার। নির্বাচনের সময় পরিবহন বৃহৎ সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে ধনী দ্ররিদতম অঞ্চলগুলোর ব্যবধান ঘোচানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। প্রচারণার সময় লেবার পার্টির দশমিক ট্রিলিয়ন পাউন্ডের ব্যয় পরিকল্পনাকেঅপরিণামদর্শীবলে ব্যাপক সমালোচনা করেছিল কনজারভেটিভ পার্টি।

অতিরিক্ত ব্যয় সত্ত্বেও কনজারভেটিভদের এক দশকের শাসনামলে ব্রিটেনে যে ব্যয়সংকোচন ঘটেছে, তার প্রভাব সহজে কমানো যাবে না বলে মনে করছে ফাউন্ডেশনটি। থিংক ট্যাংকটি জানিয়েছে, স্বাস্থ্য সামাজিক সেবা খাত বাদ দিয়ে কেবল অন্য খাতগুলোয় যে পরিমাণ ব্যয় কমানো হয়েছিল, তার অর্ধেকও ফিরিয়ে আনতে হলে প্রায় হাজার ৪০০ কোটি পাউন্ড প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া শিশুদের দারিদ্র্য বৃদ্ধি রোধে কল্যাণ খাতেই অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় প্রয়োজন পড়বে।

এদিকে ব্রেক্সিট পরিস্থিতিতে নতুন পার্লামেন্টে নিজের প্রথম বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন সুনাক। প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনটি জানায়, বাজেট বিষয়ে সুনাক অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটির কাছ থেকে সমর্থন পেতে পারেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন