টাঙ্গাইলে বাবাকে হত্যায় ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যদণ্ড

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে আবদুল আওয়াল (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার তার ছেলে আসাদুজ্জামান মিয়াসহ (৫৭) জনের মৃত্যদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন, মির্জাপুর উপজেলার মীর কুটিয়া গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম ঝড়ু (৬২), একই উপজেলার মৃত হজরত আলীর ছেলে লুকিমুদ্দিন ওরফে লোকমান (৫১), একই উপজেলার ভাররা গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে মান্নান (৪৭)। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই পলাতক রয়েছে। মামলার অপর আসামি আব্দুল লোকমানের কোন সন্ধান বা শনাক্ত করতে না পারায় এজাহার থেকেই খালাস করা হয়েছিল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ জুন মির্জাপুর বাংগুলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধ আব্দুল আওয়ালের জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলের পাশেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ঘটনার একদিন পর ১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে নিহতের ছেলে আসাদুজ্জামান মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পরে মির্জাপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শ্যামল কুমার দত্তের উপর।

কিন্তু তদন্ত চলাকালীন জানা যায় নতুন তথ্য। পুলিশের সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের ছেলে আসাদুজ্জামান জানান, নিজের বাবার সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকায় ও সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করায় ভাড়া করা লোক দিয়ে নিজের বাবাকে হত্যা করিয়েছেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ঘটনার আগে থেকেই রংপুরে গিয়ে অবস্থান নেন আসাদুজ্জামান। পরে সেখান থেকে তিনি তার ঘনিষ্ট সহযোগী জহিরুল ইসলাম ঝড়ুকে অর্থের বিনিময়ে নিজের বাবাকে হত্যার নির্দেশ দেন। পরে আসাদুজ্জামানের কথামতো ঝড়ু তার অপর তিন সহযোগী লুকিমুদ্দিন ওরফে লোকমান, মান্নান ও আব্দুল আওয়ালকে সাথে নিয়ে বৃদ্ধ আব্দুল আওয়ালের ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করেন। ধারালো ব্লেডের সাহায্যে তার গলা কেটে হত্যা করে মোবাইল ফোনে আসাদুজ্জামানকে জানিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, ঝড়ু, লোকমান ও মান্নানকে আসামি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি মহসিন শিকদার ও আসামিপক্ষে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আইনজীবী ছিলেন খন্দকার আজাহার হোসেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন