শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকে ট্রিমস লিমিটেড লাগেজ, ট্রাভেল ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক তৈরির পরিকল্পনা করছে। এজন্য কোম্পানিটি গাজীপুরের টঙ্গীতে মোট ৭৫ হাজার ৬০০ বর্গফুট ফ্লোরস্পেসবিশিষ্ট ছয়তলা নতুন একটি ভবন নির্মাণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে সেখানে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে বলে কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এসকে ট্রিমসের কোম্পানি সচিব সিরান বিন সরোয়ার বণিক বার্তাকে বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনটিতে লাগেজ, ট্রাভেল ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক তৈরির পরিকল্পনা করছি।
ভবনটি এরই মধ্যে ব্যবহারোপযোগী করা হয়েছে।
আগামী এপ্রিল অথবা মে মাসের দিকে ভবনটিতে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এ ভবনে যেসব লাগেজ, ট্রাভেল ব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক উৎপাদন করা হবে, সেগুলো জাপান ও ইউরোপীয় দেশগুলোয় রফতানি করা হবে।
এতে কোম্পানির মুনাফা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি এক ঘোষণায় এসকে ট্রিমস জানায়, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত তহবিল দিয়ে তারা মোট ১৯ হাজার ২৫০ বর্গফুট ফ্লোরস্পেসবিশিষ্ট সাড়ে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে।
এটি আইপিওর টাকায় নির্মিত কোম্পানিটির প্রথম ভবন।
গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ইউনিটের জন্য ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এতে কোম্পানিটির উৎপাদনক্ষমতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য এসকে ট্রিমস উদ্যোক্তা পরিচালক ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও সব ধরনের শেয়ারহোল্ডারের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় হয়েছে ১১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
কর-পরবর্তী
নিট মুনাফা হয়েছে ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৩ পয়সা, যা এর আগের বছরে ছিল ১ টাকা ৯২ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ৫৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
নিট মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৬ পয়সা, যা এর আগের বছরে ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা।
৩০
ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৪ পয়সা।
২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা।
রিজার্ভে রয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৪৭ লাখ।
এর
মধ্যে ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪০ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ২৮ দশমিক ৪২, সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২৬ দশমিক ৪৩।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৭১ টাকা ১০ পয়সা।
সমাপনী দর ছিল ৭১ টাকা ৯০ পয়সা।
গত
এক
বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা ও ৭৪ টাকা ৩০ পয়সা।