ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সমাপনী দরের ভিত্তিতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে
ছিল এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪০ দশমিক ২ শতাংশ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৪২ টাকা ৫০ পয়সা।
শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এ দর বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫ টাকা ১০ পয়সা।
গত
সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দৈনিক গড় ভিত্তিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ লাখ ৯০ হাজার ৮০০টি শেয়ার।
বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ৫৫ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি।
এদিন শেয়ারটির দর ৫১ থেকে ৫৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
গত
এক
বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩৬ টাকা ও ৭৫ টাকা ৭০ পয়সা।
সর্বশেষ ঋণমান অনুযায়ী এমআই সিমেন্টের সার্ভিল্যান্স এনটিটি রেটিং ‘ডাবল
এ
টু’।
৩০
জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে দায় ও হালনাগাদ
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এমআই সিমেন্ট।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা।
৩১
ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৪৮ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪৭ টাকা ৯৮ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এমআই সিমেন্টের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৭৮ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩১ পয়সা।
৩১
ডিসেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৩৬ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এমআই সিমেন্ট।
২০১৭ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমআই সিমেন্ট স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ভারতেও সিমেন্ট রফতানি করছে।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
রিজার্ভে রয়েছে ২৭১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
মোট শেয়ারের ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ২৭ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৩২ দশমিক ৬।
এছাড়া গত সপ্তাহে ডিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড (৩৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ), কোহিনূর কেমিক্যাল
কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড (৩৫ দশমিক ২৫), বিএসআরএম লিমিটেড
(২৭ দশমিক ৩৭), রিজেন্ট টেক্সটাইল
মিলস লিমিটেড (২৪ দশমিক ১৪), আইসিবি এমপ্লয়িজ
প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান: স্কিম ওয়ান (২৩ দশমিক ৩৩), এমএল ডায়িং
লিমিটেড (২২ দশমিক ৯২), ওয়েস্টার্ন মেরিন
শিপইয়ার্ড (২২ দশমিক ৮৩), সায়হাম টেক্সটাইল
মিলস লিমিটেড (২২ দশমিক ৭৩) ও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেড (২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
