রংপুর সদর উপজেলার কলেজছাত্রী হত্যার অভিযোগে প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত
বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত কলেজছাত্রীর নাম রুমাইয়া আক্তার ওরফে রুমি।
তিনি বদরগঞ্জ পৌর শহরের মুন্সীপাড়ার বদরুজ্জামানের মেয়ে ও দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতের নাম আরিফুল ইসলাম (২৫)। তিনি তারাগঞ্জ উপজেলার উজিয়াল হাড়িয়ালকুটি এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, আরিফুল ইসলাম নিহত কলেজছাত্রীর প্রেমিক ছিলেন।
দুজনের কলহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
১৬
ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশে সেতুর কাছ থেকে রুমাইয়ার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রংপুর পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর আরিফুল বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গত বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, আরিফুলের সঙ্গে রুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
১৫
ফেব্রুয়ারি আরিফুলের এক আত্মীয়ের বাড়িতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে আরিফুল রুমাইয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন।
এরপর কয়েকজনের সহায়তায় রুমাইয়ার মরদেহ বস্তায় ভরে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশে সেতুর কাছে ফেলেন আসামিরা।
পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর পুলিশ ওই এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের
বাবা বদরুজ্জামান আরিফুলকে আসামি করে মামলা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
আরিফুল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ
ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে।