এয়ারলাইনস শিল্পে প্রায় ৩ হাজার কোটি ডলার লোকসানের আশঙ্কা

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বছর বৈশ্বিক এয়ারলাইনস খাত হাজার ৯৩০ কোটি মার্কিন ডলার লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে খাতে এমন ভয়াবহ লোকসানের পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক এয়ার পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ) খবর বিবিসি

আইএটিএ পূর্বাভাস দিয়েছে, এক দশকেরও অধিক সময়ের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো এয়ারলাইনস শিল্পে চাহিদার অবনমন ঘটবে চীন এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন অংশের এয়ারলাইনস ব্যবসায় সিংহভাগ প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে সারা বিশ্বের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো বিমান পরিষেবা কমিয়ে দেয়ার ফলে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আইএটিএ পূর্বাভাস দিয়েছিল, সামগ্রিকভাবে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০২০ সালে হাজার ৭৪০ কোটি ডলার লোকসান প্রত্যক্ষ করতে হবে আবার এশিয়ার বাইরের অঞ্চলে ১৫০ কোটি ডলার লোকসান হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে সংস্থাটি চীনের এয়ারলাইনস শিল্পের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল দেশটি শুধু তার অভ্যন্তরীণ বাজারেই হাজার ২৮০ কোটি ডলার লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে

আইএটিএর মহাপরিচালক আলেকজান্দ্রে দি জুনায়েক এক বিবৃতিতে বলেন, এয়ারলাইনস শিল্পগুলোকে সক্ষমতা সংকোচন করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে চলাচলের পথও সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বছরটি শিল্পের জন্য খুব কঠিন বছর হিসেবে অতিবাহিত হবে যদিও সংস্থাটি বলছে, এয়ারলাইনস শিল্পে লোকসানের পরিমাণ অনুমান করা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে এক্ষেত্রে আইএটিএ বলছে, ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে লোকসানের হিসাবটি করা হচ্ছে ওই সময়ে ছয় মাসের চাহিদার অবনমন ঘটার পর তা পুনরুদ্ধার করাও সম্ভব হয়েছিল কিন্তু আইএটিএ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রবিন্দু চীন এবং এটি অঞ্চলের আশপাশে পরবর্তী সময়ে ছড়িয়ে পড়লে বর্তমান পরিস্থিতির থেকেও মারাত্মক অবস্থা বয়ে আনবে

এর আগে আরেকটি পূর্বাভাসে আইএটিএ বলেছিল, ২০১৫ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এয়ারলাইনস খাতের বৃহত্তম চাহিদাসম্পন্ন বাজার হয়ে উঠবে যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল পাঁচটি বাজারের চারটি হবে অঞ্চলে গতকাল দুটি প্রধান এয়ারলাইনস শিল্পগোষ্ঠী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এশিয়ায় নভেল করোনাভাইরাসের কারণে শিল্পের চাহিদা নিম্নমুখী অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস বলেছে, অর্থবছরে ১০ থেকে ১৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার লোকসানের মুখে পড়তে হবে কোম্পানিটিকে এবং কোম্পানিটি ফ্লাইট সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান সংস্থা এয়ার-ফ্রান্স কেএলএম ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি ইউরো লোকসানের আশঙ্কা করছে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন