ইউক্রেনে চীন-ফেরতদের বহনকারী বাসে হামলা, ৯ পুলিশ আহত

বণিক বার্তা অনলাইন

করোনাভাইরাস আক্রান্ত চীনের উহান প্রদেশ থেকে নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন সরকার। তবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোয়ারেন্টাইনে নেয়ার পথে তাদের বহনকারী বাসে হামলা করেছেন একদল বিক্ষোভকারী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের পাথরের আঘাতে নয় পুলিশ এবং একজন উহানফেরত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এক পুলিশের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল উহান থেকে ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশের নাগরিককে ফেরানো হয়। তাদের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হচ্ছিল। এসময় নভি সানঝারি শহরের রাস্তা অবরোধ করে একদল বিক্ষোভকারী। ওই শহরেই ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের একটি স্থাপনায় তাদের দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ইউক্রেনেরই নাগরিক এবং তারা খুব আক্রমণাত্মক আচরণ করেছিল। তারা বাসটি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। এর মধ্যে এক লোক এক ‍পুলিশ সদস্যের গায়ে গাড়ি তুলে দেয়ার চেষ্টা করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার ৪৫ জন ইউক্রেনিয়ান এবং ২৭ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিককে চীন থেকে উড়োজাহাজে করে খারকিভে আনা হয়। ছয়টি বাসে করে তাদের নভি সানঝারিতে নেয়া হচ্ছিল। বাসগুলোর নিরাপত্তায় ছিল সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় সহিংস বিক্ষোভকারীরা বাসগুলোর গতিরোধ করে। দীর্ঘক্ষণ ধ্বস্তাধস্তির পর পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকোভ বলেন, যারা ইউক্রেনের নাগরিক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে, তাদের আমরা শাস্তির আওতায় আনবো। একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।  এ ঘটনার পর পুলিশ দুটি ফৌজদারি মামলা করেছে।

ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদাইমির জেলেনসকি উহানফেরতদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাসের আরোহীদের অধিকাংশের বয়স তিরিশের নিচে। তারা আমাদের সন্তানের মতো।

ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, চীনফেরত কারো শরীরেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

সূত্র: সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন