জন-আকাঙ্ক্ষা অনুসারে দুর্নীতি কমেনি —দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কমিশন হাজারের বেশি দুর্নীতি মামলার আসামিদের গ্রেফতার করেছে। দুদক চেয়ারম্যান ভেবেছিলেন, এতে দুর্নীতি হয়তো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জন-আকাঙ্ক্ষা অনুসারে দুর্নীতির প্রকোপ কমেনি। এ কারণেই দুদক চেয়ারম্যান কখনো কখনো কিছুটা হলেও হতাশা অনুভব করেন। গতকাল রাজধানীর অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়েপ্রিভেন্টিং করাপশন টু এস্টাবলিশ গভর্ন্যান্স: রোল অব পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ শীর্ষক এক স্মারক বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে এসেছে।

স্মারক বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমার ব্যক্তিগত অভিমত, পরিণত মানুষের চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতার পরিবর্তন করা সত্যিই জটিল। কারণ কোনো কোনো পরিণত মানুষ ঠাণ্ডা মাথায় অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং অপরাধের পক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করান। এদের নিয়ন্ত্রণে কমিশন দমনমূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কৌশল গ্রহণ করেছে। এ কৌশলের অংশ হিসেবেই দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করা হয়েছে। এ কাজে অক্সফামের সহযোগিতা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের অন্যতম উদাহরণ।

কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের অধিকাংশ অর্থই এ তরুণদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এর মাধ্যমে যদি ১০ হাজার নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ সৃষ্টি করা যায়, তা হবে এ দেশের এক অমূল্য সম্পদ। বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা, কালচারাল শোসহ এ-জাতীয় কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীদের মননে উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি গ্রোথিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কর্ম প্রয়াসে সবার সমন্বিত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন