চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফেভারিটদের হারের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
আগের দিনের মতো বুধবারের রাতেও জয় পায়নি দুই অপেক্ষাকৃত ফেভারিট দল।
প্রথম দিনের লড়াইয়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
একইভাবে প্রথম লেগের ম্যাচে এবার হারের স্বাদ পেয়েছে রানার্সআপ টটেনহাম হটস্পার্সও।
লিভারপুলের মতো তারাও ০-১ গোলে হেরেছে লিপজিগের কাছে।
একই রাতে বড় চমকটা অবশ্য দেখিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টা।
স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে তারা হারিয়েছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে।
টটেনহামকে মাঠে ৫৬ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৬টি শট নেয় লিপজিগ।
বিপরীতে ৪৪ শতাংশ বলের দখল রেখে টটেনহাম শট নেয় ১২টি, লক্ষ্যে ছিল পাঁচ শট।
এ হারের জন্য অবশ্য টটেনহাম দুষতে পারে দলের দুই তারকা খেলোয়াড়ের না থাকাকে।
হ্যারি কেন ও সন হিউং মিনের মতো দুই তারকা চোটের কারণে মাঠে ছিলেন না।
আর
এ
সুযোগ কাজে লাগাতে একটুও ভুল করেনি লিপজিগ।
শুরু থেকেই হোসে মরিনহোর দলের ওপর চেপে বসে জার্মান ক্লাবটি।
একের পর এক আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় স্পার্সদের রক্ষণ দুর্গ।
তবে আক্রমণের ঝড় তুলেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি তারা।
বিশেষ করে গোলরক্ষক হুগো লরিসের কল্যাণেই প্রথমার্ধে বেঁচে যায় স্পার্সরা।
বিরতি থেকে ফিরেও দাপট অব্যাহত রেখেছিল লিপজিগ।
স্বাগতিকদের ভুলেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় অতিথিরা।
৫৮
মিনিটে লিপজিগকে পেনাল্টি উপহার দেয় টটেনহাম।
স্পট কিক থেকে ভুল করেননি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টিমো ওয়ার্নার।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে টটেনহাম।
কিন্তু মরিনহোর শিষ্যদের কোনো সুযোগ দেয়নি জুলিয়ান নাগেলসম্যানের শিষ্যরা।
শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে শেষ করতে হয় টটেনহামকে।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের দুর্দান্ত যাত্রা অব্যাহত রেখেছে আটালান্টা।
যারা কিনা হোম ম্যাচটা নিজেদের মাঠেই খেলতে পারেনি।
মূলত উয়েফার শর্ত পূরণ করতে না পারায় তাদের খেলতে হয় ইন্টার ও এসি মিলানের মাঠ সান সিরোয়।
কিন্তু মাঠ যেটাই হোক, অভিষিক্ত আটালান্টার রূপকথা যেন থামার নয়।
ভ্যালেন্সিয়াকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে।
সান সিরোয় এদিন পরিসংখ্যান বিবেচনায় লড়াইটা প্রায় সমানতালেই চলছিল।
কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ভ্যালেন্সিয়াকে পাত্তাই দেয়নি আটালান্টা।
গোলমুখ খুলতে এদিন আটালান্টার সময় লাগে মাত্র ১৬ মিনিট।
সতীর্থের ক্রস থেকে দলকে এগিয়ে দেন হানস হেটবোয়ের।
ম্যাচের ৬২ মিনিটেও আরেকটি গোল করেন তিনি।
চার গোলের অন্য দুটি হোসিপ ইলিচিচ ও রেমো ফ্রেয়ুলেরের করা।
ডেনিশ চেরিশভ ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ করলেও তা কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
বিবিসি