জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ না হলেও এ ম্যাচ নিয়ে বেশ সতর্ক থাকতে হচ্ছে মুমিনুল হকের দলকে।
বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ বাংলাদেশ।
সেই ব্যর্থতা ভুলতে এ ম্যাচটিকে পাখির চোখ করেছে তারা।
যদিও এ ম্যাচে অপেক্ষা করে আছে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ।
দলের কম্বিনেশনেও এসেছে বেশকিছু অদল-বদল।
তাই বাড়তি সতর্কতাও আছে দলে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সামনে রেখে গত কয়েক দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হলেও তাদের সহজভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
এর
আগের সফরে সিলেটে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।
এর
মাঝে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছে বাংলাদেশ।
কঠিন সময় ভুলতে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল মরিয়া হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দলের ওপেনার সাইফ হাসানও জানালেন, এবার ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন তারা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকটা মোটেই সুখকর হয়নি।
ইনিংস হারের সেই ম্যাচটিতে সাইফের ব্যাট থেকে এসেছে ০ ও ১৬ রান।
ব্যাট হাতে এবার কিছু করে দেখাতে চান দলের জন্য।
সাইফ বলেন, ‘যেখানেই
খেলি, দুই-তিন ম্যাচ ভালো করতে না পারলে বাদ পড়তে হবে।
সবকিছুর ওপর হচ্ছে পারফরম্যান্স।
সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছি না।
যদি খারাপ খেলি তবে বাদ পড়ব।
আর
ভালো করলে দলে থাকতে পারব।’
প্রতিপক্ষ দল জিম্বাবুয়ে হলেও তাদের মোটেই ছোট করে দেখছেন না সাইফও, ‘জাতীয়
দলের প্রস্তুতি ভালো হচ্ছে।
দুই দিন ধরে অনুশীলন করছি।
আগে থেকে সবাই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছি।
আশা করি ভালো কিছু হবে।’
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েও চায় জিততে।
নিজেদের ইতিবাচক মানসিকতাকেই মূূলত নিজেদের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে তারা।
গতকাল দলের তারকা খেলোয়াড় সিকান্দার রাজা বলেন, ‘খেলোয়াড়দের
মানসিকতাই আমাদের শক্তি।
যেভাবে আমাদের ছেলেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে তা দারুণ।
আমাদের মানসিকতা সবসময় শক্তিশালী।
এটাই আমাদের মূল শক্তি।’ রাজা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের
স্পিনারদের রেকর্ড আমাদের বিপক্ষে খুবই ভালো।
তারা আমাদের অনেকগুলো উইকেট নিয়েছে।
কিন্তু তাদের বিপক্ষে আমরা রান নেয়া শুরু করেছি।
সিলেট তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
আমরা সেই ম্যাচটি জিতেছিলাম।’