গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন শেষ হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২৫ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৬ পয়েন্ট কমেছে।
সূচকের পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে।
সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে অলিম্পিক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও বিএটিবিসি।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেনের শুরুতে সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও বিক্রয় চাপে দিন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫২ শতাংশ কমে প্রায় ৪ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচকের পাশাপাশি ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ এদিন প্রায় ৭ পয়েন্ট কমে দিন শেষে ১ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আর
শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দিনের ব্যবধানে প্রায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে গতকাল ১ হাজার ৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে।
গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে ৭৭০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৮৩৭ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ২৪৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৯টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ করে দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত।
১২
শতাংশ দখলে নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত।
আর
৯
শতাংশ করে দখলে নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত।
ব্যাংক খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৬ শতাংশ।
স্টক এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ সিকিউরিটিজ ছিল গ্রামীণফোন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, বিবিএস কেবলস, সামিট পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়েস্টান মেরিন শিপইয়ার্ড, গোল্ডেন হারভেস্ট ও সায়হাম টেক্সটাইল।
দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ১৬ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৮১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৬৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭৫টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১৬৯টি আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির বাজারদর।
