আবারো একই দিনে একসঙ্গে হলিউডের দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে।
আজ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে ছবি দুটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে।
ছবি দুটির একটি অ্যাডভেঞ্চারধর্মী, অন্যটি হরর।
প্রখ্যাত মার্কিন ঔপন্যাসিক জ্যাক লন্ডনের সাড়া জাগানো উপন্যাস অবলম্বনে অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ছবি দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড পরিচালনা করেছেন ক্রিস স্যান্ডার্স।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যারিসন ফোর্ড, ড্যান স্টিভেনস, ক্যারেন গিলান, ব্র্র্যাডলি হুইটফোর্ড প্রমুখ।
অন্যদিকে হরর ছবি ব্রামস: দ্য বয় ২ হলো ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দ্য বয়-এর সিক্যুয়েল।
অতিপ্রাকৃত এ হরর কাহিনীচিত্রের পরিচালক উইলিয়াম ব্রেন্ট বেল।
চিত্রনাট্যকার স্ট্যাসি মেনিয়ার।
অভিনয় করেছেন কেটি হোমস, ক্রিস্টোফার কনভেরি, রাফ ইনেসন প্রমুখ।
প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যেই ভালো-খারাপ দুটি সত্তা বিদ্যমান।
এছাড়া সব প্রাণীর মধ্যেই স্বাধীনতা লাভের একটা চেতনা থাকে।
এমনই কিছু বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক জ্যাক লন্ডন রচনা করেছেন ‘দ্য
কল
অব
দ্য ওয়াইল্ড’। অ্যাডভেঞ্চারধর্মী এ গল্পটিকে নিয়ে নির্মিত ছবিটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ‘বাক’ নামের একটি কুকুরের জীবনকে ঘিরে।
‘বাক’ই এ সিনেমার মূল নায়ক।
অন্যদিকে ব্রামস: দ্য বয় ২-এ নিজের দুঃসহ অতীত ভুলতে চান মার্কিন তরুণী গ্রেটা।
তাই নতুন চাকরি নিয়ে চলে যান ইংল্যান্ডের ছোট্ট এক গ্রামে।
বিত্তশালী এক দম্পতি দীর্ঘ ছুটি কাটাতে যাবে।
এ
সময় তাদের আট বছর বয়সী ছেলেকে দেখাশোনাই গ্রেটার দায়িত্ব।
তিনি সেই প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে টের পেলেন, কোথাও যেন একটা গোলমাল আছে।
তার নিয়োগদাতা হিলশায়ার দম্পতির বয়স বিস্ময়কর রকমের বেশি।
ছেলে ব্রামসের যত্ন কীভাবে নিতে হবে, তা নিয়ে কঠোর নির্দেশনাসংবলিত একটা তালিকা গ্রেটার হাতে ধরিয়ে দেন তারা।
আর
সতর্ক করে দেন, এসব নিয়ম ঠিকঠাক না মানলে পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে।
তবে সবচেয়ে গোলমেলে ব্যাপারটা হলো, ব্রামস আসলে ছোট্ট শিশু নয়, বরং ঠিক সেই আকারের একটি চীনামাটির পুতুল।
কিন্তু তাকে হিলশায়ার দম্পতি নিজেদের আসল ছেলের মতোই যত্ন করেন এবং গভীর ভালোবাসেন।
তারা গ্রেটাকে কড়া নির্দেশনা দেন, ‘যদি
ওকে ভালোবাসো, বিনিময়ে সেও তোমাকে ভালোবাসবে।
এগিয়ে চলে ছবির গল্প।