[গতকালের
পর]
উন্নয়নের সঙ্গে বৈষম্য ও অসমতা বাড়ছে।
কিন্তু আমাদের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়নের, কাউকে পেছনে ফেলে রাখা নয়।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি-নির্দেশনা আছে কি?
জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা দিয়ে আমরা আজকে এটি বলছি ‘কাউকে
পেছনে রেখে নয়’। আমাদের প্রথম সংবিধানে এটি সন্নিবেশিত হয়েছে।
প্রতিটি মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বস্ত্র, আহার, বাসস্থানের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
তার মানে প্রতিটি মানুষের এই মৌলিক বিষয়গুলো নিশ্চিত হলে কেউ আসলে পেছনে থাকবে না।
সংবিধানের ১৫ (গ) ধারা যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে কেউ পেছনে থাকবে না।
বাংলাদেশ সংবিধানের মূল চেতনাই এটা—কেউ যেন পেছনে না পড়ে।
পাঁচটি মৌলিক বিষয়ের নিশ্চয়তা দেয়ার মানেই হলো, কাউকে পেছনে রেখে নয়।
আমরা যদি অসাম্য কমার পদক্ষেপ নিই কার্যকরভাবে এবং ব্যাপক শিক্ষাবিস্তারের পথ অবলম্বন করি, বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে (সেটি বিনা বেতনে), তাহলে ‘কাউকে পেছনে নয়’
কথাটির প্রকৃত অর্থ বা সত্য প্রতিফলিত হবে।
কেউ যেন শিক্ষার বাইরে না থাকে।
আর
শিক্ষা ছাড়া শ্রেণী উত্তরণ সম্ভব নয়।
একজন পথশিশু বা টেম্পোর হেলপার হিসেবে যে শিশুটি তার সম্ভাবনা অপচয় করছে, সে একজন প্রকৌশলী হতে পারত বা দার্শনিক হতে পারত, যদি লেখাপড়ার সুযোগ পেত।
কাজেই লেখাপড়া প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষার বাইরে যাতে কেউ না থাকে, সে প্রচেষ্টা নেয়া।
‘নো ওয়ান লিভিং বিহাইন্ড’
কথাটি প্রকৃত অর্থে কার্যকরী হবে, যদি তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি।
না
হলে স্লোগান হিসেবে থেকে যাবে।
অসমতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি?
আমরা প্রত্যেক দরিদ্র অঞ্চলের জন্য বিশেষ কর্মসূচি প্রণয়নের কথা বলব।
সেখানে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, বিশেষভাবে দেখতে হবে অবকাঠামো আছে কিনা।
যে
কারণে পশ্চাত্পদতা বা দারিদ্র্য আছে, সেটি আগে নির্ণয় করে সেগুলো দূর করতে হবে।
অর্থাৎ কোথাও বারবার বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সেই কারণেও দরিদ্রতা বাড়তে পারে।
যেমন কুড়িগ্রাম।
ব্যাপকভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ সেখানে জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে।
তাহলেই দারিদ্র্যের মূল কারণগুলো দূরীভূত করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ভৌত সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে।
অঞ্চলগুলোকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে হবে, সেগুলোকে সড়ক ও জনপথের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সংযুক্ত করতে হবে।
তাহলেই অঞ্চলে অঞ্চলে যে বৈষম্য, সেটি কমে আসবে এবং নো ওয়ান লিভিং বিহাইন্ড কার্যকর হবে, তাত্পর্যময় হবে।
একটি কথা বলতে চাই, ২০০৯-১০ সাল থেকে দেশ সুপরিকল্পনার মাধ্যমেই এগোচ্ছে।
সেজন্য প্রবৃদ্ধি হারও বেড়েছে।
আমাদের কিছু ব্যর্থতা আছে।
অনেক ক্ষেত্রে পুরোটা এগোতে পারিনি।
কিন্তু যতটুকু এগিয়েছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিস্ময়কর।
এতটা প্রবৃদ্ধি অতীতে অর্জিত হয়নি।
সামাজিক ক্ষেত্রে এতটা উন্নয়ন আগে কখনো হয়নি।
বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি এতটা বাড়েনি।
এতটা শক্তিশালী অর্থনীতি আমাদের অতীতে ছিল না।
আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি।
এটাকে ভিত্তি করে এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্য করার প্রয়োজন নেই।
যেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে, সেক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।
রাষ্ট্রায়ত্ত যেসব প্রতিষ্ঠান সরকার বারবার লোকসান গুনবে, সেগুলো সরকারের ধরে রাখারও প্রয়োজন নেই।
কারণ সরকারের প্রচুর কাজ রয়ে গেছে নিরীক্ষণ, পরিবীক্ষণ, নজরদারি প্রভৃতিতে।
শিক্ষা হোক, পণ্য হোক, স্বাস্থ্য হোক এবং পরিবেশ হোক, এগুলো মানসম্মত হচ্ছে কিনা, এ বিষয়গুলোয় সরকারের অনেক বেশি দৃষ্টি দেয়া দরকার।
এর
মধ্যে সরকারের অনেক কার্যক্রম জড়িত।
পুরনো ধারণা ছিল যে সরকার ব্যবসা করবে।
লাভ করবে।
এ
ধারণা থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।
সরকার কখনো ব্যবসা করার জন্য তৈরি হয় না।
কখনো কোনো আমলা তৈরি করা হয় না ব্যবসা করার জন্য।
ব্যবসার ঝুঁকি তারা কখনো নেবেন না।
কাজেই যেক্ষেত্রে একক ব্যবসা (মনোপলি) পরিহার করা যাবে না, সেটিই শুধু সরকার করতে পারে।
ব্যক্তি খাতে মনোপলিতে দাম বাড়াতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
মনোপলি ভাঙার কঠিন আইন আমেরিকায়ও আছে।
কার্টেল করলে দ্রুত ভেঙে দেয়ার শক্ত আইন আছে।
এটিও মনে রাখতে হবে প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে গুরুত্ব দেয়ার যে অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধির নিশ্চয়তা বিধানের জন্য এটিই হলো সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
এটি প্রমাণিত।
এর
মধ্যে ব্যত্যয়মূলক বা শোষণমূলক কোনো উপাদান থাকলে সেটি সরকারকে অবশ্যই দেখতে হবে।
যেন উন্নয়নের সুফল প্রত্যেকেই পেতে পারে।
আইন-শৃঙ্খলা দ্বারা যদি দেশ শাসিত হয়, সেটিই বড় নিশ্চয়তা উন্নয়নের সুফল সবাইকে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
এর
চেয়ে বড় নিশ্চয়তা আর হতে পারে না।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কী রয়েছে?
কর্মসংস্থানের বিষয়টিতে আমাদের অবশ্যই অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
এ
কারণে যে দারিদ্র্য কমিয়ে আনার অন্যতম চালিকাশক্তি হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
সেটি সরকারি ক্ষেত্রে, বেসরকারি ক্ষেত্রে—যেখানেই হোক।
কর্মপরিবেশ তৈরি করা এবং ব্যবসা সৃষ্টি করা খুব জরুরি।
ব্যবসা সৃষ্টি হলেই কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য সরকারি বিনিয়োগ করা।
আমলাতন্ত্র চালাতে তো একটি নির্দিষ্টসংখ্যক জনশক্তি প্রয়োজন হয়।
তার জন্য যতটুকু প্রয়োজন হয় ততটুকু সরকার করবে।
আমরা চাইব পুরো অর্থনীতিতে যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, সেটিকে গুরুত্ব দেয়া।
প্রবৃদ্ধিকে যে গুরুত্ব দিচ্ছি তার মূল কারণ হলো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ছাড়া প্রবৃদ্ধি হতে পারে না।
প্রবৃদ্ধি হতে হলে কর্মসংস্থান হতেই হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিই হওয়া উচিত দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র উপায়।
সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে সবাইকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা কঠিন।
কাজেই দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে হলে কর্মসংস্থানই একমাত্র উপায়।
সেজন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যেমন কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করব।
এটি হবে কৌশলগত পরিকল্পনা, একই সঙ্গে কর্মমুখী পরিকল্পনাও।
যথেষ্ট অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে নির্দেশিত থাকবে।
এটি হবে ষষ্ঠ ও সপ্তম পরিকল্পনা থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম।
এটা শুধু কৌশলগত পরিকল্পনা নয়, এটি হবে একটি কর্মপরিকল্পনাও, যাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মের পরামর্শ থাকবে কি কর্মসূচি নেয়া হবে।
কর্মসংস্থানের জন্য একই সঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
শিক্ষাকে বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
এক্ষেত্রে আমরা চাইব ব্যক্তি খাতে যে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষাকেন্দ্রগুলো গড়ে উঠেছে, সেগুলো তারা যেন বাজারের প্রয়োজনে পরিচালিত করে।
বাজার উপযোগী গ্র্যাজুয়েটস যেন তৈরি করে।
বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, স্থিতিশীলতা দরকার, তেমনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কার্যকরভাবে সুফল পেতে হলে সর্বত্রই আইনের প্রয়োগটা জরুরি।
যাতে যে যার সীমার মধ্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ কোটি ১৪ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা আমরা নিতে যাচ্ছি।
দেশে-বিদেশে মিলিয়ে উল্লিখিত সংখ্যক কর্মসংস্থান যেন তৈরি হয়, আমরা সেই চেষ্টা করব এবং আমরা আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে প্রতি বছর গড়ে ছয় লাখ করে বিদেশে শ্রমিক পাঠাতে চেষ্টা করব।
আমরা আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ৩০-৩৫ লাখ বিদেশে পাঠাব।
ভৌত অবকাঠামো গড়ে তুলছি, যাতে বিনিয়োগ হয়।
বিনিয়োগ হলেই কর্মসংস্থান হবে।
কাজেই কর্মসংস্থান প্রচেষ্টাই থাকবে সার্বিক প্রচেষ্টা।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এবং তার মাধ্যমে দারিদ্র্য কমিয়ে আনা।
রাজস্ব ঘাটতির কারণে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি।
অষ্টম পরিকল্পনায় অর্থায়ন কীভাবে নিশ্চিত করা হবে?
আমাদের দেশজ আয় বাড়ছে অথচ দেশজ রেভিনিউ বাড়বে না, এটি তো হতে পারে না।
এখানে যে বিযুক্তি (ডিসকানেক্ট), এটিকে আমাদের
ভাঙতেই হবে এবং খুঁজে বের করতে হবে।
ব্যক্তিজীবনে আয় বাড়লে তো একজন ব্যক্তিকে করও বেশি দিতে হয়।
জাতীয় জীবনে আয় বাড়বে অথচ রাজস্ব বাড়বে না, এটি তো হতে পারে না।
প্রবৃদ্ধির সঙ্গে রাজস্বের বিযুক্তি ভাঙতে হবে এবং তার জন্য প্রয়োজনে আরো সংস্কার বিশেষ করে ভ্যাট আইন, করজালকে আরো বিস্তৃত করতে হবে।
আরো সংস্কারের মধ্যে থাকবে করকে সহনীয় হারে রেখে করজালের ব্যাপক বিস্তার ঘটানো।
অনেকটা জিহাদি মনোভাব নিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
রাজস্ব বাড়ানো আগামী দিনের আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আমি আশা করব, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার সফল হবে।
এ
পর্যন্ত যতটা এগিয়েছি, তা আমাদের বাস্তববাদী পরিকল্পনার সাফল্য।
জনগণের উচ্চতর চাহিদার ভিত্তিতেই পরিকল্পনা তৈরি হবে।
২০৪১ সালে যে আমরা উন্নত দেশ হব, তার ভিত্তি রচনা করবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
এ
পরিকল্পনাকালে দুটি বিরাট মাইলফলক অতিক্রম করব, সেটি হলো দেশকে হতদরিদ্রমুক্ত করা।
আর
যে
বিষয়টি নিশ্চিত করব, সেটি হলো বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হবে।
উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের আরো প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।
আমাদের রক্ষণশীল মনোভাবকে পরিহার করে রফতানি বাজারটা আরো সংস্কার করে সব প্রকারের সংরক্ষণবাদী নীতি বাদ দিতে হবে।
অর্থাৎ রফতানিমুখী পথ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বা ধনী দেশ হওয়া কোনোটাই সম্ভব হবে না।
আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য নেই, যা দিয়ে আমরা ধনী দেশ হব।
আমাদের ধনী হওয়ার একমাত্র উপায় হলো, ব্যাপক রফতানি বাণিজ্যে অংশ নেয়া।
রফতানি বাণিজ্যে অংশ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ধনী হয়েছে।
জাপান ধনী হয়েছে।
তাইওয়ান ধনী হয়েছে।
মালয়েশিয়াও হয়েছে।
থাইল্যান্ডও হয়েছে।
মূলত রফতানির ওপর নির্ভর করে এসব দেশ সমৃদ্ধ হয়েছে।
কাজেই এ পথেই আমাদের যেতে হবে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারের কী চ্যালেঞ্জ থাকবে?
দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ হলো দ্রুত প্রযুক্তিগত পরিবর্তন।
প্রযুক্তিকে আমাদের স্বাগত জানাতে হবে।
আজকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি।
মনে রাখতে হবে কোনো শিল্প বিপ্লবই বেকারত্ব সৃষ্টি করেনি।
যখন বিপ্লবের শুরু হয় তখন আশঙ্কা ছিল বেকারত্ব তৈরি হবে।
এ
কারণে আমরা দেখেছি তাঁত শিল্প যখন যান্ত্রিকায়ন হয়েছিল, তখন সেগুলো শ্রমিকরা পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ভেবেছিলেন তাদের কর্মসংস্থান চলে যাবে।
কোনো শিল্প বিপ্লবই কর্মহীনতার সৃষ্টি করেনি।
বরং যা ঘটেছে তা হলো, শ্রমিক ব্যবহারের ধরন পাল্টেছে দ্রুত।
কাজেই আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী যেন আমরা মানবসম্পদ তৈরি করতে পারি সেদিকে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো, মানসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি করা এবং প্রত্যেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
তা
না
হলে এককভাবে সরকারের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
[শেষ]
ড. শামসুল আলম:
একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ; বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব)
সাক্ষাত্কার নিয়েছেন এম এম মুসা
শ্রুতলিখন: হুমায়ুন কবির