নভেল করোনাভাইরাস

প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডে দুই জাপানির মৃত্যু

বণিক বার্তা অনলাইন

চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ডিজিজ বা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ১২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডে দুই জাপানি যাত্রী মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএইচকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মৃতদের মধ্যে ৮৭ বছর বয়সী একজন পুরুষ, আরেকজন ৮৪ বছর বয়সী নারী। তবে এদের একজন নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ‘কভিড-১৯’ রোগে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্যজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ‘নিউমোনিয়া’। গত সপ্তাহে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রমোদতরী থেকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাৎসুনবু কাতো। তিনি আরো বলেন, জাহাজটির আরো পাঁচ শতাধিক যাত্রীকে নামিয়ে আনা হচ্ছে। বিশেষ ফ্লাইটে নিজ দেশে ফেরত যাচ্ছেন আরো ১০০ বিদেশী যাত্রী।

এর আগে, বুধবার শারীরিক পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েনি এবং কোনও লক্ষণ নেই- এমন একদল যাত্রীকে ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে নামিয়ে আনা হয়। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে থাকা যাত্রী ও ক্রুদের এখনও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জাহাজে আর কতজন যাত্রী রয়েছেন এবং তাদের নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া কখন শেষ হবে তা নিশ্চিত করেনি জাপান কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ প্রমোদতরীটির দেড় শতাধিক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ইতোমধ্যে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। ফিরেছেন হংকংয়ের যাত্রীরাও। শুক্রবার পৃথক ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন কানাডা ও ব্রিটেনের যাত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্রের তিন শতাধিক যাত্রী দেশে ফিরলেও এখনও অন্তত ৪৫ মার্কিন নাগরিক জাহাজটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

চীনের বাইরে আক্রান্তের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাপান। দেশটিতে এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি মারা গেল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালিসহ ৫০টির বেশি দেশের তিন হাজারেরও বেশি যাত্রী নিয়ে ডায়ামন্ড প্রিন্সেস নামে একটি প্রমোদতরী দেশটির উপকূলে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আটকে ছিল। আটকে থাকা এসব যাত্রীর মধ্যে থেকে এরই মধ্যে ৬২১ জন কভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছে। 

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন