চীনে করোনাভাইরাস ডিজিজ বা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১১৮ জন। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত আরো ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও হংকং ও ইরানে দুজন করে এবং তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন। সবমিলিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মারা গেছেন ২ হাজার ১২৬ জন।
এদিকে ২৩ জানুয়ারির পর গতকাল উহানে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটিতে গতকাল চীনের মূলভূখণ্ডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৩৯৪ জন। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৭২৫ জন, আর সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ২৩৩ জন।
তবে দেশটির হুবেই প্রদেশে ভাইরাসটির আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। ১১৪ জনের মধ্যে ১০৮ জনই মারা গেছেন নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়া হুবেই প্রদেশে। আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৩১ জন।
চীনের বাইরে আক্রান্তের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাপান। দেশটিতে এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালিসহ ৫০টির বেশি দেশের তিন হাজারেরও বেশি যাত্রী নিয়ে ডায়ামন্ড প্রিন্সেস নামে একটি প্রমোদতরী দেশটির উপকূলে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আটকে ছিল। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন সুস্থ যাত্রীরা।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এর পর পরই ভাইরাসটি ক্রমান্বয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের জেরে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বাসিন্দার প্রদেশ হুবেই কার্যত চীন থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্রদেশটির বাসিন্দাদের বাইরে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া হুবেই কর্তৃপক্ষ পুলিশের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য সরবরাহের গাড়ি ও নাগরিক পরিষেবার কাজে নিয়োজিত পরিবহন ছাড়া প্রদেশটিতে যেকোনো ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একইভাবে বেইজিং পৌর কর্তৃপক্ষও ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নাগরিকদের ১৪ দিন নিজ উদ্যোগে কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও এএফপি
