ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি

৫০ লাখ পাউন্ড ইয়ার্ন রফতানি করবে এমএল ডায়িং

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় কোম্পানির কাছে ৫০ লাখ পাউন্ড ডায়েড ইয়ার্ন রফতানি করবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডায়িং লিমিটেড কোম্পানিটি কয়েক দফায় বিদ্যমান বাজারমূল্যে কলকাতার এএমজে ন্যারো ফ্যাব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে পরিমাণ ইয়ার্ন রফতানি করবে বিষয়ে গত সোমবার কোম্পানি দুটির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে

বিষয়ে এমএল ডায়িংয়ের কোম্পানি সচিব একেএম আতিকুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, কলকাতার এএমজে ন্যারো ফ্যাব্রিকসের কাছে ৫০ লাখ ডায়েড ইয়ার্ন বিক্রির বিষয়ে সম্প্রতি চুক্তি সই হয়েছে একবারে না করে আমরা কয়েক দফায় তাদের পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করব

ইয়ার্ন রফতানির মাধ্যমে কোম্পানিটির মুনাফা অনেকটাই বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি তবে মুনাফা ঠিক কী পরিমাণ বাড়বে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি কারণ কোম্পানিটি একবারে সম্পূর্ণ ইয়ার্ন নেবে না বিভিন্ন দফায় নেবে এক্ষেত্রে দাম নির্ধারণ হবে ওই সময়ের বাজারদর অনুযায়ী আতিকুর রহমান বলেন, আমরা কোম্পানিটির কাছে পণ্য বিক্রয়ের বিষয়ে এখনো কোনো দর নির্ধারণ করিনি এএমজে ন্যারো তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইয়ার্ন আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দফায় সংগ্রহ করবে আর সে সময়ের বাজারদর অনুযায়ী এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হবে

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এমএল ডায়িং এর মধ্যে শতাংশ নগদ বাকি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৩৯ পয়সা

এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭০ পয়সা হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ২৪ পয়সা বা ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৬ পয়সা ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪১ পয়সা

২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩১০ কোটি টাকা বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ২২১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কোম্পানিটির মোট ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৮৩, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৮৯ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে

ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা সমাপনী দর ছিল ৫৮ টাকা ৪০ পয়সা গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২২ টাকা ৪০ পয়সা ৬২ টাকা

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৫৬ দশমিক ৭০, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৩১ দশমিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন