সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে
বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটিতে তীব্র হামলা চালানো শুরু করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট
বাশার আল-আসাদের সরকারি বাহিনী। এ অভিযানের মধ্যে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলার
শিকার হয়েছে অঞ্চলটির হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরগুলো। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এসব
হামলায় প্রায় ৩০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের
কর্মকর্তারা জানান, হামলা থেকে বাঁচতে তীব্র শীতের মধ্যে তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে
এসেছে প্রায় ১০ লাখ বেসামরিক নাগরিক,
যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ পরিমাণ
শরণার্থীদের নিয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল
বেচেলেট বলেন, যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা বেসামরিক নাগরিকরা নিরাপদ আশ্রয়হীন এলাকায়
গাদাগাদি করে থাকছে, এমনকি এ জায়গাও প্রতি মুহূর্তে সংকুচিত হচ্ছে। অথচ তারা এখনো বোমা
বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এ শরণার্থীদের আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অভিযানে
দুটি হাসপাতাল ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একদিন পর মঙ্গলবারও সিরীয় ও রুশ
যুদ্ধবিমানগুলো আলেপ্পোর দারাত ইজ্জা শহরে হামলা অব্যাহত রাখে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ১
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৯৯ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে, যার
৯৩ শতাংশই সরকার ও এর মিত্র বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। হাসপাতাল, চিকিত্সা
কেন্দ্র ও স্কুলগুলোতে একের পর এক হামলার সবগুলোই দুর্ঘটনাবশত হতে পারে না বলে
মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল।