মাশরাফি মর্তুজার অবসর নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই।
জাতীয় দলে সুযোগ না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন।
সর্বশেষ বিপিএলে খেলার সময় এমন কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফলতম এ অধিনায়ক।
তার অবসরের বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ শেষে মাশরাফি আর অধিনায়ক থাকছেন না, সেই বার্তাটিই দিয়েছেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি।
তবে এ সিরিজের পর বিসিবি নতুন অধিনায়ক খোঁজার প্রক্রিয়ায় থাকবে বলেও জানান পাপন।
তার কথায়, ‘আমার
ধারণা, মাশরাফি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ সিরিজে অবশ্যই থাকছে।
যদি ফিট না থাকে তবে সেটা অন্য কথা।
ফিটনেসে এখন কড়াকড়ি।
বিপ টেস্টের ব্যাপার আছে।
তবে মাশরাফির জন্য আমরা অতটা কড়াকড়িও করতে যাচ্ছি না।’
এ সিরিজের পর অধিনায়ক মাশরাফির শেষের শুরুর কথাও জানিয়ে দিলেন বিসিবিপ্রধান।
তার ভাষায়, ‘মাশরাফি
খেলতে চাইলে খেলতে পারে।
তবে আমাদের ভাবনায় নেতৃত্ব।
সামনে যে বিশ্বকাপ আছে, সেটা নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
হাতে সময় খুব কম।
দল
ও
অধিনায়ক আমরা দুই বছর আগেই করে ফেলব।
আমাদের শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আশা করছি, এক মাসের মধ্যে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
এ
সিরিজটি পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি।
ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে পারে এমন কাউকেই হয়তো আমরা বেছে নেব।’
অবসরের বিষয়টি প্লেয়ারদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত হলেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে মাশরাফির ভাবার সময় এসেছে বলেও জানান পাপন।
বলেছেন, ‘অবসরের
সিদ্ধান্তটি একান্ত ব্যক্তিগত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে বাঁকবদল, সেখানে মাশরাফির অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
তবে কতদিন খেলবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় মাশরাফির হয়েছে বলে মনে করি।
কেননা এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িয়ে আছে।’ অন্য কেউ অধিনায়ক হলেও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ মাশরাফির থাকছে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘মাশরাফি
খেলতে চাইলে খেলতে পারে।
অন্য কাউকে যদি আমরা অধিনায়ক ঘোষণা করে দিই, এরপর মাশরাফি যদি পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলে ঢুকতে পারবে তো ঢুকবে? এখানে কারোরই কোনো বাধা নেই।’
ইনজুরির সঙ্গে মাশরাফির লড়াই দীর্ঘ সময়ের।
গত
বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকেই চোটে ভুগছেন মাশরাফি।
বিশ্বকাপের পর যেতে পারননি শ্রীলংকা সফরেও।
ইনজুরি নিয়েই খেলেছেন সর্বশেষ বিপিএলে।
টেস্ট ও টি২০ থেকে এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি।
শুধু ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে নেতা হিসেবে দলে রাখার কথা বললেও ফিটনেসের কথা স্মরণ করিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনের আগে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন নাজমুল হাসান পাপন।
টস,
ব্যাটিং অর্ডার এসব সিদ্ধান্ত টিমি মিটিংয়ের।
এসব পরিকল্পনা আগে থেকে জেনে রাখতে চান বিসিবিপ্রধান।
আগে থেকে যা পরিকল্পনা থাকবে, তার পরিবর্তন করা যাবে না বলেও সংবাদমাধ্যমে জানান বিসিবিপ্রধান।
বলেছেন, ‘অনেক
সময়ই জিনিসগুলো অন্য রকম হচ্ছে।
কেন হচ্ছে আর সিদ্ধান্তগুলোই বা নিচ্ছে কে? এজন্যই সবাইকে ডেকে বলে দেয়া যে কে কী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সেটা? বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ থেকেই এমন হচ্ছে।
এরপর আফগানিস্তান সিরিজ।
সব
পুরো বদল।
আমি যা জানতাম তার কিছুই হয়নি।’ যোগ করেন, যারা উপরে খেলেনি তাদের উপরে খেলানো হয়েছে।
এসব অনেক বড় পরিবর্তন।’
খেলার কৌশলের ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্টকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
বলেছেন, ‘বেসিক
বিষয়গুলো আগের মতোই চলবে।
১৬
জনের স্কোয়াড নির্বাচকরা দিতে পারবেন।
সেরা একাদশ বেছে নিতে পারবেন অধিনায়ক ও কোচ।
তবে যে জিনিসগুলো হচ্ছে মানে গেম প্ল্যান, সেগুলো আমি আগের দিন জানতে চাই।
পরিকল্পনা এক রকম অথচ গিয়ে দেখি পুরো উল্টো, সেটি আর হতে পারবে না।’