সলজবুর্গের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বেই নজর কেড়েছিলেন আরলিং হালান্ড।
কিন্তু সেটা ছিল কেবল শুরু।
এরপর তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় ইউরোপের প্রায় সব জায়ান্ট দল।
কিন্তু শীতকালীন দলবদলে সবাইকে চমকে হালান্ড পাড়ি জমান বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে।
নতুন ক্লাবে গিয়ে হালান্ড যেন আরো ক্ষুরধার।
একের পর এক ম্যাচে নিজের দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে যাচ্ছেন এ নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড।
এখন পর্যন্ত ডর্টমুন্ডের হয়ে ৭ ম্যাচে হালান্ড গোল করেছেন ১১টি।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হালান্ডের জোড়া গোলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ২-১ গোলে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড।
প্রতিযোগিতায় তার গোল সংখ্যা ৭ ম্যাচে ১০টি।
মঙ্গলবার এ উদীয়মান ফুটবলারের নৈপুণ্যের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে নেইমার-এমবাপ্পের মতো তারকারা।
বরুশিয়ার মাঠে এদিন শুরু থেকে লড়াইটা ছিল সমানে সমান।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে গোলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।
তবে পরিকল্পনার ছাপ ছিল না দুই দলের খেলাতেই।
প্রথমার্ধ শেষ হয় নিষ্ফলাভাবেই।
বিরতির পর অবশ্য ধীরে ধীরে ম্যাচের রূপ বদলাতে শুরু করে।
এ
ম্যাচের আগে থেকে যে হালান্ডের ওপর সবার চোখ ছিল, তিনি ভাঙলেন ডেডলক।
জাদোন সানচোর পা হয়ে বল আসে হালান্ডের কাছে।
কোনো ভুল না করে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করে দলকে লিড এনে দেন তিনি।
গোল খেয়ে পিএসজি যেন আরো মরিয়া হয়ে ওঠে।
সমতা ফিরতেও তাই দেরি হয়নি।
কিলিয়ান এমবাপ্পের পাসে পা ছুঁয়েই লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার।
তবে সেই সমতা ২ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি।
ডি
বক্সের বাইরে থেকে হালান্ডের নেয়া আচমকা শট জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম।
শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ানো গোলটি না পেলেও পিএসজির সান্ত্বনা একমাত্র অ্যাওয়ে গোলটি।
ম্যাচ শেষে জিতলেও বরুশিয়া যে দ্বিতীয় লেগ নিয়ে সতর্ক, সেটি জানিয়ে দিলেন হালান্ড নিজেই, ‘আমরা
পরের পর্বে যেতে চাই।
ম্যাচটা (প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ) খুব কঠিন হবে।’ এ সময় পিএসজিকে ভয়ংকর দল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিপরীতে অ্যাওয়ে গোলটিকে প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছে পিএসজি।
ডিফেন্ডার মার্কুইনোস বলেন, ‘বল
পায়ে কিংবা বল ছাড়া আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলাম না।
অনেক কিছুই আমরা ভুলভাবে করেছি।
তবে দ্বিতীয় লেগ বিবেচনা করলে গোলটা খুব প্রয়োজনীয় ছিল।’ অবশ্য এ গোলদাতা নেইমারের এ ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না।
পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে বসিয়ে রাখতে চেয়েছিল ক্লাব।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্লাবকে বুঝিয়ে মাঠে নামতে সক্ষম হন তিনি।
সে
সঙ্গে দলকে জয় এনে দিতে না পারলেও একটি গোল ঠিকই উপহার দিয়েছেন।
প্যারিসের দর্শকরা অবশ্য দ্বিতীয় লেগে পুরোপুরি ফিট ও ছন্দে থাকা নেইমারকেই দেখতে চাইবে।
সেজন্য অবশ্য কিছু সময়ও পাচ্ছেন তিনি।
এএফপি, বিবিসি