ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বলের দখল।
এটুকু পরিসংখ্যান বলে দেয়, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে লিভারপুল কতটা দাপট দেখিয়েছে।
কিন্তু দিন শেষে ফুটবল গোলের খেলা।
তাই দাপুটে খেলেও বিমর্ষ মুখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিভারপুলকে।
সেই সঙ্গে হারতে ভুলে যাওয়া ইয়ুর্গেন ক্লোপের দলকে ১-০ গোলের পরাজয়ের স্বাদ দিয়ে মাটিতেও নামিয়ে এনেছে অ্যাতলেটিকো।
বলের দখল রাখতে না পারলেও এদিন নিজেদের জমাট রক্ষণে ফাটল ধরাতে দেয়নি স্বাগতিকরা।
পাশাপাশি শুরুতে পাওয়া গোলটিকেও দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে তারা।
এমনকি পাল্টা আক্রমণে কয়েকবার গোলের ব্যবধানও বাড়াতে পারত।
অন্যদিকে লিভারপুল অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেও ন্যূনতম কোনো শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না লিভারপুলের।
নিজেদের মাঝে সমন্বয়হীনতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিপক্ষের এ নড়বড়ে অবস্থার সুবিধা নিয়ে অ্যাতলেটিকো দ্রুতই লিড নিয়ে নেয়।
তখন মাত্র ৪ মিনিটের খেলা চলছিল।
কর্নার থেকে ফাবিনহোর পা হয়ে বল চলে এল সাউল নিগেজের কাছে।
ভুল করেননি তিনি।
বল
জালে জড়িয়ে স্বাগতিক সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন।
এ
গোলের পর অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লিভারপুল।
দারুণ সব আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছিল বারবার।
কিন্তু চূড়ান্ত কাজটি আর করা হয়ে উঠছিল না কোনোভাবেই।
বিশেষ করে ডি বক্সের ভেতর অ্যাতলেটিকোর জমাট রক্ষণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে লিভারপুলের প্রেসিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে অ্যাতলেটিকো চেষ্টা করছিল কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার।
সে
লক্ষ্যে কয়েকবার সফলও হয়েছে তারা।
কিন্তু লিভারপুল ডিফেন্সের কারণে পাওয়া হয়নি দ্বিতীয় গোলটি।
বিরতির পরও দুই দলের সামনে সুযোগ এসেছিল গোল করার।
কিন্তু কোনো দলই সেটি কাজে লাগাতে পারেনি।
বিশেষ করে ৫৩ মিনিটে নিজের করা ভুলটির জন্য আফসোস করতে পারেন সালাহ।
ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে হেড করেছিলেন তিনি, কিন্তু সেটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
এরপর অ্যাতলেটিকোর হয়ে সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল আলভারো মোরাতার সামনে।
তিনিও পারেননি গোল আদায় করতে।
পরে মোহাম্মদ সালাহকে তুলে ডিভক অরিগিকে নামিয়েছিলেন ক্লোপ।
কিন্তু দিনটি লিভারপুলের ছিল না।
তাই কাঙ্ক্ষিত গোলটিও আর পাওয়া হয়নি শেষ পর্যন্ত।
মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়ে।
হারলেও অবশ্য গল্পটা এখানেই থেমে যাচ্ছে না।
অ্যানফিল্ডে দ্বিতীয় লেগের লড়াই এখনো বাকি আছে।
ক্লোপও এরই মধ্যে প্রতিপক্ষকে সর্তকবার্তা দিয়ে রেখেছেন, ‘আমাদের
সমর্থকরা প্রস্তুত থাকবে।
স্বাগতম অ্যানফিল্ডে।
লড়াই এখনো শেষ হয়নি।’ বিবিসি, এএফপি