ডিজিটাল সেবা করের অনুমোদন দিল স্পেন সরকার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ডিজিটাল সেবা করের অনুমোদন দিয়েছে স্পেনের সরকার। ফ্রান্সের পর এ পদক্ষেপ নিল ইউরোপের দেশটি। তবে বরাবরই এ করারোপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এ কর আরোপ হলে পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটনের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ফেসবুক ও গুগলের মতো মার্কিন টেক জায়ান্টদের বিরুদ্ধে অনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। খবর এএফপি।

প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সের মতো স্পেনেও ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখানো, চুক্তি সম্পাদন ও ব্যবহারকারীদের তথ্য বিক্রি থেকে আয়ের ওপর ৩ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে। কিন্তু দেশটির বাজেটমন্ত্রী মারিয়া জেসুস মন্টেরো বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগে এ করারোপ কার্যকর করা হবে না। এ সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক প্রযুক্তি করের বিষয়ে আলাদা একটি চুক্তির জন্য দি অর্গানাইজেশন ফর কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টকে (ওইসিডি) সুযোগ দেয়া হবে।

গত বছর প্যারিসে ডিজিটাল কর আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে ২৪০ লাখ ডলার সমমূল্যের ফরাসি পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপের হুমকি দেয়। কিন্তু গত মাসে উভয় পক্ষ ওইসিডির আশ্রয়ে এ বিষয়ে একটি বৈশ্বিক কাঠামো নির্মাণে সমঝোতায় পৌঁছায়। এর পরই প্যারিস ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত ডিজিটাল কর থেকে রাজস্ব আদায় করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের মন্ত্রিসভায় ডিডিজটাল কর অনুমোদনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া জেসুস মন্টেরো বলেন, আমরা এখনো গত শতকের কর পদ্ধতি নিয়ে চলতে পারি না। আমাদের অবশ্যই একবিংশ শতকের উপযোগী কর পদ্ধতি চালু করতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল করের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ করারোপের সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো, প্রথাগত ব্যবসার সঙ্গে ডিজিটাল ব্যবসার অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করা। তিনি আরো বলেন, এ কর আরোপের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বৈষম্য করা হবে না। জাতীয়তা কিংবা ব্যবসার ধরন নির্বিশেষে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ডিজিটাল করারোপ করা হবে।

নতুন এ কর আরোপের মধ্য দিয়ে স্পেন আশা করছে, বছরে দেশটির অতিরিক্ত ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় হবে। এছাড়া আর্থিক লেনদেনের ওপর আরোপিত নতুন করের মধ্য দিয়ে বছরে আরো আয় হবে ৮৫ কোটি ইউরো। এ করারোপের সিদ্ধান্তও গত মঙ্গলবার অনুমোদন দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে এ দুই কর চালুর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে বিল উত্থাপন করে সানচেজের মন্ত্রিসভা। কিন্তু সানচেজ বাজেট পাসে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ফলে উত্থাপিত বিল দুটি নিয়ে সংসদে আর আলোচনা অগ্রসর হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন