চাল রফতানি আরো বাড়াতে পারে ভিয়েতনাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর ভিয়েতনামের চাল রফতানি খাত ফের চাঙ্গা থাকার পূর্বাভাস মিলেছে। এ বছর দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হতে পারে, আগের বছরের তুলনায় যা ৬ শতাংশ বেশি। ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ও ইয়াহু ফিন্যান্স।

বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম থেকে পণ্যটির রফতানি কয়েক বছর ধরেই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। গত বছর দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ৬৩ লাখ ৭০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। সে হিসাবে ২০১৯ সালের তুলনায় চলতি বছর দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাড়তে পারে ৩ লাখ ৮০ হাজার টন বা ৬ শতাংশ।

ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ডু হা ন্যাম জানান, চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে ভিয়েতনামে উৎপাদিত চালের চাহিদায় চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। অন্যান্য শীর্ষ রফতানিকারক দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত সস্তা হওয়ায় বিশ্ব বাণিজ্যে খাদ্যপণ্যটি অধিক প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক পণ্যবাজার টালমাটাল থাকলেও ভিয়েতনামের চাল রফতানিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ নতুন বাজার খুঁজতে ও বাজারের প্রসারতা বৃদ্ধিতে দেশটির চাল ব্যবসায়ীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়েছেন। ফিলিপাইন এখন ভিয়েতনামের চাল রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার বলে জানান ডু হা ন্যাম। 

এছাড়া চালের নতুন বাজারের খোঁজে ভিয়েতনামের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও আফ্রিকার বাজার ধরতে দেশটি অধিক পরিমাণে সুগন্ধি চাল উৎপাদনে জোর দিয়েছে।

এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ড থেকে এ বছর পণ্যটির রফতানি রেকর্ড হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে, যা এ খাতে ভিয়েতনামকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর দেশটির চাল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা কমে গত সাত বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন