বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশনের মাত্রা নিয়ে একটি জরিপ সম্পন্ন করেছে। এতে রেডিয়েশনের মাত্রা নির্ধারিত সীমার নিচে পাওয়া গেছে, যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টাওয়ার রেডিয়েশনের মানদণ্ড ও সাম্প্রতিক জরিপ’ শীর্ষক এক আলোচনায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান। বিটিআরসির উদ্যোগে ও অ্যামটবের আয়োজনে আলোচনায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.)।
আমিনুল হাসান বলেন, টাওয়ারের রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক ও বিটিআরসির বেঁধে দেয়া মানদণ্ডের অনেক নিচে আছে, তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বিটিআরসির কমিশনার বলেন, আমরা দেশের অনেকগুলো স্থানে মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশন জরিপ সম্পন্ন করেছি ও তা অব্যাহত থাকবে। টাওয়ারের রেডিয়েশনের ফল অত্যন্ত সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি আছে, এটা ভিত্তিহীন। আমরা সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা ভবন মালিকদের নিশ্চিত করছি যে আপনারা ভয় পাবেন না। দেশের উচ্চ আদালত আমাদের কাছে এ-সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। আমরা খুব দ্রুতই আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করব।
আলোচনায় আরো অংশ নেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বিটিআরসির মহাপরিচালক (স্পেকট্রাম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শহিদুল আলম, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের (বাংলাদেশ) পরিচালক (মার্কেটিং) এসএম নাজমুল হাসান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির উপপরিচালক (ইঅ্যান্ডও) ড. শামসুজ্জোহা। তিনি বলেন, মোবাইল টাওয়ারে ব্যবহূত যন্ত্রপাতির ইএমএফ রেডিয়েশন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে।
তিনি বলেন, আমরা জরিপে পেয়েছি যে দেশের মোবাইল টাওয়ারগুলোর রেডিয়েশন নির্ধারিত সীমার অনেক নিচে। পরিকল্পিতভাবে টাওয়ার স্থাপিত হলে তা কম ক্ষমতার রেডিয়েশন ছড়াবে ও তা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। এই টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি আছে তা দূর হবে বলে আশা করছি। জরিপ করতে গিয়ে কয়েকটি টাওয়ারের ওপরে পাখির বাসা দেখেছি। পাখিরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আছে ও বংশ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। অনেক ভবনের ছাদে বাগান করা হয়েছে ও তাতে খুব ভালো ফলনও হচ্ছে।
