কয়েকদিন আগেই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আকবর আলীদের
সঙ্গে একাত্ম হয়ে দেশবাসীর উৎসবের রঙ এখনো জ্বলজ্বলে। যুবদলের বিশ্বকাপ জয়কেই এখন পর্যন্ত ভাবা
হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতের সেরা অর্জন হিসেবে। এখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরো একটি
বিশ্বকাপ। নারী টি২০ বিশ্বকাপ। এখানেও আছে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। সালমা খাতুনের দল
অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। তাদের
অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে যুবাদের বিশ্ব জয়ের ঘটনা। গতকাল বিশ্বকাপে
অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে ট্রফি উন্মোচন ও ফটোসেশনেও একই কথা বলেন বাংলাদেশ
অধিনায়ক সালমা। এশিয়া কাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতার ঘটনাটিও স্মরণ
করেন তিনি। তিনি জানান, এ অর্জনগুলোই
বিশ্বকাপে তাদের অনুপ্রাণিত করবে।
বিশ্বকাপ নিয়ে তার ভাবনা বলেন,
‘এশিয়া কাপ
একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু আমরা এখন বিশ্বকাপে মনোযোগ রাখছি। অস্ট্রেলিয়া
ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই আমাদের পূর্ণ মনোযোগ।’ এ সময় যুবাদের অর্জন যে নারীদের
আত্মবিশ্বাসের পালে বাড়তি হাওয়া দিচ্ছে,
সেটিও
বলেন অধিনায়ক, ‘আমাদের অনূর্ধ্ব ১৯
দল সম্প্রতি বিশ্বকাপ জিতেছে। আমরাও তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছি। আমরা
ভালোভাবে শুরু করার অপেক্ষায় আছি।’
সালমা-রুমানাদের কাজটা
অবশ্য সহজ হবে না। গ্রুপ পর্বেই অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে তারা লড়বে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও
শ্রীলংকার বিপক্ষে। সেমি ফাইনালে যেতে হলে নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা
করতে হবে বাংলাদেশকে। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল সেমিফাইনালের মুখ দেখবে। ২৪
ফেব্রুয়ারি নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ
শক্তিশালী ভারত। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষও যে বিশ্বকাপকে পাখির চোখ
করেছে, সেটিও বোঝা গেল
অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের কণ্ঠে,
‘আমাদের দল
দিন দিন উন্নতি করছে। সবাই ইতিবাচক কিছুর অপেক্ষায় আছে। যদি আমরা জিততে পারি, তবে সেটা অনেক বড়
অর্জন হবে।’
গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ২৯ তারিখ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগ্রেসরা। ২ মার্চ
এশিয়ান প্রতিপক্ষ শ্রীলংকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৮
মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল।