স্কয়ার লাইফসায়েন্সেস লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন
করবে ওষুধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, যেখানে তাদের প্রায়
শতভাগ মালিকানা থাকবে। নতুন কোম্পানিটি ওরাল সলিড ডোজেজ প্রডাক্ট (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল) উৎপাদন করবে
বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। স্কয়ার
ফার্মাসিউটিক্যালসের নিজস্ব তহবিল ও স্কয়ার লাইফসায়েন্সেসের উদ্যোক্তাদের
বিনিয়োগের মাধ্যমে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটির
বাস্তবায়ন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্কয়ার ফার্মার হিসাব ও অর্থ বিভাগের প্রধান মো. কবীর রেজা বলেন, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল জাতীয়
ওষুধের বাজার ক্রমবর্ধমান। এসব পণ্যের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের উৎপাদন
সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ লক্ষ্যেই নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি
গঠন করা হবে। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন হবে ১০ কোটি টাকা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪৯ শতাংশ
লভ্যাংশ দিয়েছে স্কয়ার ফার্মা। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ নগদ ও ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা ৩
পয়সা। এককভাবে ইপিএস হয়েছে ১৩ টাকা ৩৯ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে
কোম্পানিটির সম্মিলিত ও একক ইপিএস ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ৬৯ পয়সা ও ১০ টাকা ৪২
পয়সা। ৩০ জুন সম্মিলিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা ৩
পয়সা, এককভাবে যা ৭৭ টাকা
৭ পয়সা। আগের হিসাব বছর শেষে সম্মিলিত ও একক এনএভিপিএস ছিল যথাক্রমে ৭৩ টাকা ২৮
পয়সা ও ৫৯ টাকা ১৪ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের
প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের
একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৪৬ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর
সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ১২ পয়সা।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত ও চলতি হিসাব বছরের ৩০
সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন
অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড
(সিআরআইএসএল)।
১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি
টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ৭৪৪
কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯। এর ৩৪
দশমিক ৪৩ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী,
১৯ দশমিক
৩৮ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে
রয়েছে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) স্কয়ার ফার্মা শেয়ারের
সর্বশেষ দর ছিল ২০৬ টাকা ৬০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ২০৬ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে
শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৬১ টাকা ও ২৭৭ টাকা ৩০ পয়সা।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৩ দশমিক ৭৬, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত
আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১২ দশমিক ৬৩।