কভিড-১৯ ভাইরাসের প্রভাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাদিয়ায় মন্দা ভাব বজায় থাকার পূর্বাভাস
দিয়েছে খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এ পূর্বাভাস সত্য হলে এক
দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা কমতির দিকে থাকবে। এর আগে ২০০৯
সালে অর্থনৈতিক মন্দায় জ্বালানিটির চাহিদা কমেছিল। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) সম্প্রতি এ তথ্য
জানিয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।
চীন বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল ভোক্তা
দেশ। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির বাজারে পণ্যটির চাহিদার হ্রাস-বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের
প্রভাব বিস্তার করে। কভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপে
দেশটিতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই পণ্যটির দৈনিক চাহিদা গড়ে আড়াই লাখ ব্যারেল
কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইআইএ। এতে জ্বালানি তেলের
বৈশ্বিক চাহিদা ব্যাপক হারে কমে যেতে পারে।
ইআইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম
প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দৈনিক গড়ে
৪ লাখ ৩৫ হাজার ব্যারেল হ্রাস পেতে পারে। এক দশকের মধ্যে এটাই হতে পারে পণ্যটির
বৈশ্বিক চাহিদার প্রথম পতন। এছাড়া বছর শেষে জ্বালানি তেলের বার্ষিক চাহিদা দৈনিক
গড়ে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ব্যারেল কমে ৮ লাখ ২৫ হাজার ব্যারেলে নামতে পারে।
তবে প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় পরের
প্রান্তিকগুলোয় জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় তুলনামূলক চাঙ্গা ভাব বজায় থাকতে পারে।
আইইএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে
পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা বেড়ে দৈনিক গড়ে ১২ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হতে পারে। তৃতীয়
প্রান্তিকে তা আরো বেড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল ছুঁতে পারে।