গাজীপুরে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারসহ তার চালক ও দেহরক্ষীও রয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহত সকলের নাম জানা যায়নি।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় জৈনাবাজার ও বেড়াইদের চালা এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে। জামালপুর জেলার দেওয়াগঞ্জ উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের কেল্লা মোল্লার ছেলে শরাফত আলী (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছে। বেড়াইদেরচালা হাজী মফিজ উদ্দিন সিএনজি পাম্পপের অপর নিহত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব হাসান জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এক বৃদ্ধ মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় ময়মনসিংহগামী একটি পিক-আপ তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেড়াইদেরচালা হাজী পাম্পের পাশে অপর এক যুবক (২০) মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দিলে সে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে ও পরিচয় জানতে বিভিন্ন স্থান খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তাদের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. আলমীগর ভূঁইয়া জানান, একই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ময়মনসিংহগামী এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস সামনে থাকা একটি কভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসের দুই যাত্রী নিহত ও কমপক্ষে ২৭ জন যাত্রী আহত হন। কভার্ডভানটিও কাত হয়ে পড়ে গেছে। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম জানা যায়নি।
আরেকটি দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের জিপ সড়ক ডিভাইডারের সাথে সংঘর্ষে, তার গাড়ির চালক হেলালুর রহমান ও দেহরক্ষী আব্দুল বারেক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত মুস্তাফিজুর রহমান মাথা হাত ও পায়ে জখম হয়েছেন এবং তার চালক ও দেহরক্ষী শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। তবে তারা সকলেই অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের অবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম।
