বোল্টকে হারিয়ে দিলেন ভারতের নির্মাণ শ্রমিক!

বণিক বার্তা অনলাইন

দৌড়ে উসাইন বোল্টকে হারিয়ে দিলেন দক্ষিণ ভারতের এক নির্মাণ শ্রমিক! তাও আবার কোনো মসৃণ স্প্রিন্ট নয়, রীতিমতো কর্দমাক্ত ধানের জমিতে! রেকর্ড গড়া ওই যুবকের নাম শ্রীনিবাস গৌড়া।  ২৮ বছর বয়সী গৌড়া কর্নাটকের ঐতিহ্যবাহী মহিষ দৌড় প্রতিযোগিতা কাম্বালায় এ রেকর্ড গড়েন। তিনি ১৪২ মিটারের স্প্রিন্ট (কর্দমাক্ত জমি) শেষ করেছেন ১৩ দশমিক ৪২ সেকেন্ডে। যেখানে বোল্টের ১০০ মিটারে এখন পর্যন্ত রেকর্ড ৯ দশমিক ৫৮ সেকেন্ড। সে হিসাবে গৌড়া ১০০ মিটার যেতে সময় নিয়েছেন মাত্র ৯ দশমিক ৪৫ সেকেন্ড! 

স্বভাবতই কর্নাটকের পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়েছেন গৌড়া। উসাইন বোল্টের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে তাকে। অবশ্য কাম্বালার সরকারি সংস্থা এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করছে। কাম্বালা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক কে গুনাপালা কাদাম্বা বলছেন, আমরা অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার পক্ষপাতি নই। গতি মাপার জন্য অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের অনেক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতি রয়েছে। 

গৌড়া অবশ্য পত্রিকায় বোল্টের রেকর্ড ভাঙার কৃতিত্ব নিয়ে প্রকাশিত খবর দেখে বেশ আপ্লুত। কর্নাটকের উপকূলীয় জেলা দক্ষিণ কন্নড়ের মুদাবিদরির বাসিন্দা গৌড়া তার প্রিয় মহিষ দুটিরও অনেক প্রশংসা করে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাত বছর ধরে কাম্বালা উৎসবের নিয়মিত প্রতিযোগী।

কর্নাটকের আঞ্চলিক টুলু ভাষায় কাম্বালা মানে ধান রোপণের জন্য তৈরি জমি। কর্নাটকের উপকূলীয় এলাকায় এটি একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। দুটি মহিষকে জোয়ালে বেঁধে তাদের সঙ্গে একজন রাখাল ১৩২ মিটার বা ১৪২ মিটার স্প্রিন্টে দৌড়ান।  এ খেলা নিয়ে অবশ্য পশু অধিকার সংগঠনগুলো অনেক দিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছে। ২০১৪ সালে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট ষাঁড়ের দৌড় নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন। তামিলনাড়ুতে ষাঁড়ের লড়াই জাল্লিকাট্টু-কে কেন্দ্র করে মূলত এ নিষেধাজ্ঞার দাবি ওঠে। এর দুই বছর পর কর্নাটক রাজ্য আদালত কাম্বালা বন্ধে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। তবে ২০১৮ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের অনুমতি দিচ্ছে সরকার।

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন