ইএসএসএবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী

শিল্পের জন্য ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এখন স্বনির্ভর। তৈরি পোশাক শিল্পে আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। শিল্পের জন্য ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ সেক্টরের অনেক যন্ত্রপাতি এখনো আমরা আমদানি করছি। আমাদের সুযোগ ও দক্ষতা আছে এ ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করার। ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি দেশেই তৈরি করতে হবে। নিজেরাই এ যন্ত্রপাতি তৈরি করলে আমাদের আর আমদানিনির্ভর থাকতে হবে না, একই সঙ্গে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএসএসএবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সপ্তম ইন্টারন্যাশনাল সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তৈরি পোশাক শিল্পে দেশে অভাবনীয় সফলতা এসেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রফতানির সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বিশ্বের সেরা ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেরই সাতটি। এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি একান্ত প্রয়োজন। একসময় এগুলোর ডিজাইনের জন্য বিদেশ থেকে এক্সপার্ট নিয়ে এসে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হতো। এখন দেশের এক্সপার্টরাই তা করছেন। আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালে যারা জীবন দিয়ে আমাদের মায়ের ভাষা রক্ষা করেছেন, তারই পথ ধরে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা চায়নি সোনার বাংলা হোক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জয়বাংলা স্লোগান বদল করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিল, বাংলাদেশ বেতারের নাম বদল করে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল। এতেই তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু আজ নেই, আমরা তার উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. মোতাহার হোসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, বিজিএমইএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. আব্দুস সালাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহা. মাহমুদ এবং এক্সপোর আহ্বায়ক জাকির উদ্দিন আহমেদ।

এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্কসহ ২৫টি দেশের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য ৭৫টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কোনো ফি ছাড়াই এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে। এক্সপো চলবে আগামীকাল পর্যন্ত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন