ভালোবাসা দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে...

ফিচার ডেস্ক

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভ্যালেন্টাইনস ডে। দিনটি বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বছরের প্রতিটা দিন ভালোবাসার হলেও এ দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করে সবাই। খুবই ঘটা করে আনন্দ-বের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধুবান্ধবস্বামী-স্ত্রী, ছাত্র-শিক্ষক, মা-বাবা-সন্তানসহ বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ মানুষ এদিনে একে অন্যকে তাদের ভালোবাসা জানায়। তবে দিবসটি রোমান্টিক সম্পর্কের মানুষদের জন্য একটু বেশিই তাত্পর্যপূর্ণ। এদিনে প্রিয়জনকে ফুল ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেয়া এবং তাদের সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়া ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।

কাপলদের পাশাপাশি একাকী কেউ এদিনে ভ্রমণ করে ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে ফিরে। আর কাপলরা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করে ভালোবাসা উদযাপন করে থাকে। আপনি সুখে প্রেম করছেন বা একাকী থেকেই ভালো বোধ করছেন, যেটাই হোক না কেন, ভ্রমণ আপনার ভালোবাসার বিশেষ এদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে।

ভালোবাসা দিবসে সারপ্রাইজ হবে না?

পুরো ফেব্রুয়ারিই ভালোবাসার মাস। সুতরাং কেবল ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘিরেই যে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে হবে, বিষয়টা কিন্তু তেমন না। আবার অনেকে সারপ্রাইজ দিতে সঙ্গীকে কিছু না বলেই পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু দূরে বা কাছে যেটাই হোক না কেন, ঘুরতে যাওয়া নিয়ে তার সমস্যা থাকতেই পারে। তাই ভ্রমণের বিষয়টি হালকাভাবে জানিয়ে রাখা ভালো। আপনি বরং অপ্রত্যাশিতভাবে ভ্রমণকে অনেক বেশি রোমান্টিক ও স্মরণীয় করে তুলতে পারেন, এটাই আপনার সঙ্গীর কাছে বড় সারপ্রাইজ হতে পারে।

বেছে নিন অফ সিজনের গন্তব্য

অফ সিজনের কোনো গন্তব্যে ঘুরতে যাওয়ার পরামর্শ শুনে অবাক হতে পারেন। তবে ভালোবাসা দিবসে ভ্রমণের জন্য এটা অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক হতে পারে। প্রথমত. অফ সিজনের গন্তব্যে ভ্রমণের জন্য আপনি ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ভালোবাসা দিবসের ভিড় ও কোলাহল থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। ফলে আপনি অনেকটা একান্তেই সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারবেন। অফ সিজনের গন্তব্যগুলোতে খুব কম মানুষই আপনাদের ঘিরে থাকবে, এমন একটি পরিবেশের যেকোনো স্থানই অনেক বেশি রোমান্টিক ও স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারে।


আকাঙ্ক্ষিত গন্তব্য

ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে আরেকটি রোমান্টিক উপাই হলো, সঙ্গীর কাঙ্ক্ষিত কোনো গন্তব্যে ভ্রমণ করা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরার এমন একটি গন্তব্য বাছাই করুন, যেখানে আপনারা অনেক দিন ধরেই ভ্রমণ করার স্বপ্ন দেখছেন। এমন স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানটি কেমন, তার চেয়েও বড় বিষয় এটা যেকোনো উপহারের চেয়ে অনেক বেশি রোমান্টিক সারপ্রাইজ হতে পারে। তাই ভালোবাসা দিবসে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানের চেয়ে আপনার সঙ্গীর কাঙ্ক্ষিত বা পছন্দ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ উপায়ে সারপ্রাইজ দিন

খুব বেশি সারপ্রাইজে না গিয়েও সাধারণ উপায়েই সঙ্গীকে বড় ধরনের সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি এমন একটি স্থানে ভ্রমণ গন্তব্য নির্ধারণ করতে পারেন, যেখানে আপনাদের একে অন্যের প্রথম দেখা হয়েছিল। রোমান্টিক ডিনার সেটআপ করুন, তাকে চকোলেট ও ফুল দিন। এটা নিয়ে আপনার জটিলভাবে চিন্তার কিছু নেই, স্মৃতিবিজড়িত পুরনো ওই গন্তব্যটি ভালো কোনো ভ্রমণ গন্তব্যের চেয়েও মধুর অনুভূতি দেবে।

শুধু নিজেরা উপভোগ করুন

বিশেষ এদিনটিতে শুধু প্রিয়জনকে সময় দিন। এদিনে কাজ, বন্ধুবান্ধবসহ নানা ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। দুজন মিলে ঘুরতে যান, হাত ধরে হাঁটুন এবং কোনো ধরনের ঝুট-ঝামেলা এড়িয়ে নিজেদের সময় দিন। পারলে নিজেদের ফোন বন্ধ রাখুন, পৃথিবীকে ভুলে যান এবং ভ্রমণকে উপভোগ করুন।

এদিকে সঙ্গী ছাড়াও ভালোবাসার বিশেষ এদিনটিকে উপভোগ্য করে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারবেন। হতে পারে এটাই আপনার একাকী জীবনের শেষ ভালোবাসা দিবস। এরপরই হয়তো জুটে যেতে পারে আপনার কোনো সঙ্গী। তাই একাকী এ সময়টাকে স্বাধীনভাবে উপভোগ করুন।

বিশ্বকে জয় করুন

আশপাশে অনেক রোমান্টিক গন্তব্য আছে, যেগুলো চাইলে আজ একাকী ভ্রমণ করতে পারেন। কিছুক্ষণের জন্য এমন একটি স্বপ্নের গন্তব্যে হারিয়ে যান। এক্ষেত্রে ভরসা করতে পারেন আপনার মনের ওপর। মন যেদিকে যেতে চায়, সেদিকেই চলে যান। এটা আপনার জন্য অবিস্মরণীয় একটি ভালোবাসা দিবস হবে।

বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান

আপনার কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক না থাকতে পারে, তবে আপনাকে একা ভ্রমণ করতে হবে না। একটু ভেবে দেখুন আপনার কাছের একজন একক বন্ধুও আছে। তাই বাড়িতে বসে থেকে দিনটি নষ্ট না করে একক বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যান। দেখবেন অনেক ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে আসবেন। সব মিলিয়ে এমন একটি দিনে আপনি রোমান্টিকের চেয়ে বেশি মজা পাবেন।

ঘুরতে যাওয়ার মতো সঙ্গী পাননি?

এমন একটি বিশেষ দিনে আপনি যদি ঘুরতে যাওয়ার মতো কোনো সঙ্গী খুঁজে না পান, তবে চিন্তার কিছু নেই। একক ভ্রমণ আপনাকে ব্যতিক্রমী এক অভিজ্ঞতা দিতে পারে। আপনি ইচ্ছেমতো গন্তব্য নির্ধারণ করতে পারেন, নিজের পছন্দমতো হোটেলে থাকতে পারবেন এবং খাবার খেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কারো পছন্দের ওপর নির্ভর করতে হবে না। একাকী ভ্রমণ হলো সমুদ্রে একটি নৌকা ভাসিয়ে দেয়ার মতো অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।


নিজেকে জানা

একাকী ভ্রমণে সবচেয়ে সিরিয়াস বিষয় হলো, নিজেকে অনেক বেশি জানা যায়। আক্ষরিক বা রূপকভাবে, শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে আপনি কতটা সবল; আপনার পছন্দ, ভালো লাগা, ভালোবাসা এসব বিষয়ে নিজের সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই জানতে পারবেন একাকী ভ্রমণে। সুতরাং আজই হতে পারে নিজেকে জানার বিশেষ এ সুযোগ।

 

সূত্র : স্কাই স্ক্যানার


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন