নিজ দেশের কোনো সেনাসদস্য ফের আক্রান্ত হলে সিরিয়ার সরকারি সেনাবাহিনীকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গতকাল তিনি বলেন, রাশিয়ার মদদপুষ্ট সিরীয় সেনাবাহিনীকে সিরিয়ার সর্বত্র আক্রমণ করা হবে।
স্থলে কিংবা আকাশে যেখানেই বাশার আল-আসাদ সরকারের সেনাবাহিনীর দেখা মিলবে, সেখানেই তারা আক্রমণের শিকার হবে।
খবর রয়টার্স।
সিরিয়ার ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযান পরিচালনা করছে সিরিয়ার সরকারি সেনাবাহিনী।
গত
ডিসেম্বরের পর থেকে ইদলিব অঞ্চলে হামলা ও সহিংসতায় মারা গিয়েছে ৩৫০ জনেরও বেশি বেসামরিক সিরীয়।
এছাড়া তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার সিরীয় নাগরিক।
গত
১০
সপ্তাহে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭ লাখ মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে এরদোগান বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই তুরস্ক সিরীয় সেনাদের ইদলিব থেকে হটিয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আর
এ
সময়ের মধ্যে তিনি তার সহযোগী সিরীয় বিদ্রোহীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছেন।
সরকারি বাহিনী হামলা করতে পারে এমন কোনো কাজ করা থেকে তাদের বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।
গত ১০ দিনে সিরীয় সেনাবাহিনীর বোমাবর্ষণে ইদলিবে অন্তত ১৩ জন তুর্কি সেনা নিহত হয়েছেন।
এরপর গত মঙ্গলবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালায় তুরস্কের সেনাবাহিনী।
এরদোগান বলেন, পর্যবেক্ষণ চৌকিতে তুরস্কের কোনো সেনা সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হলেও ভয়াবহ হামলা করা হবে।
সিরীয় সেনারা দেশের যেখানেই থাকুক, সেখানেই তারা আক্রমণের শিকার হবে।
এ
বিষয়ে ২০১৮ সালের অস্ত্রবিরতির চুক্তিও গ্রাহ্য করা হবে না।
আমরা যেকোনোভাবে আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব।
স্থলে কিংবা আকাশে সবখানেই সিরীয় সেনাদের ওপর নির্দ্বিধায় আক্রমণ পরিচালনা করা হবে।
তাছাড়া রাশিয়ান ও সিরীয় সেনারা কোনো সন্ত্রাসীকে আক্রমণ করছে না।
তারা আক্রমণ করছে সাধারণ নাগরিকদের ওপর।
এ
হামলা থামছেই না।
উল্লেখ্য, ইদলিবে তুরস্কের পর্যবেক্ষণ চৌকি রয়েছে ১২টি।
চলতি মাসে ইদলিবের সীমানাজুড়ে দেশটি পাঁচ হাজার সেনার পাশাপাশি ট্যাংক ও রাডার মোতায়েন করেছে।
এদিকে সিরিয়াবিষয়ক মার্কিন দূত জেমস জেফরি গত মঙ্গলবার বলেন, আমাদের ন্যাটো সহযোগী দেশ তুরস্ক রাশিয়া ও বাশার বাহিনীর কাছ থেকে হুমকি পেয়ে আসছে।
এ
বিষয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, নয় বছর ধরে চলা সিরীয় গৃহযুদ্ধের মানবিক বিপর্যয় এড়াতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠী সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
কিন্তু রুশ মদদপুষ্ট সিরীয় সেনাবাহিনীর বোমা হামলা থামছেই না।