মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। ভোজ্যতেলটির শীর্ষ দুই ক্রেতা ভারত ও চীনের বাজারে চাহিদা হ্রাস ও চলতি মাসে পণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এর পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। গত মঙ্গলবার পণ্যটির দাম ২ শতাংশের বেশি কমেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জের মঙ্গলবার কার্যদিবসে এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৯৫ রিঙ্গিত, আগের দিনের তুলনায় যা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ কম।
এ
নিয়ে টানা তিনদিন পণ্যটির বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে।
মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির রফতানি আগের মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
চলতি মাসেও এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনেই দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি ২০ শতাংশ থেকে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে বলে মনে করছে খাতসংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
মালয়েশিয়ার পরিশোধিত পাম অয়েলের শীর্ষ ক্রেতা ভারত।
রাজনৈতিক ইস্যুতে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।
এর
জের ধরে প্রাথমিকভাবে পণ্যটির আমদানি সীমিত পরিসরে কমিয়ে আনেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
নতুন বছরের শুরুতে পণ্যটির আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় দেশটি।
এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে চীনও পণ্যটির ক্রয় কমিয়ে দিয়েছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যে আবার মালয়েশিয়ায় পণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস মিলেছে।
দ্য সাউদার্ন পেনিনসুলার পাম অয়েল মিলারস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
মালয়েশীয় ব্রোকারেজ পেলিনডং বেসতারি সেনদিরিয়ান বারহাদের পরিচালক পরামালিঙ্গাম সুব্রামনিয়াম জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দুর্বল চাহিদা বাজারে ফের উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এর
সঙ্গে উৎপাদনে চাঙ্গা ভাবের পূর্বাভাস মিলে পণ্যটির দামে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ।
কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সারের অভাবে পণ্যটির উৎপাদন কমছে।
তবে চলতি মাস থেকে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।