ফয়সাল মোরশেদ খান

ধরাছোঁয়ার বাইরে এক যুবরাজ!

হাছান আদনান

বিলাতে পড়ালেখা শেষে যুক্ত হয়েছিলেন ধনাঢ্য পিতার ব্যবসায়। পিতা মন্ত্রী হলে ব্যবসায় স্থলাভিষিক্ত হন পুত্র। মন্ত্রিত্ব শেষ, পুত্রও দেশান্তরী। বিপর্যয় শুরু হয় ব্যবসায়। ডুবে গেছে সিটিসেল, বিধ্বস্ত এবি ব্যাংক। আগের মতো ব্যবসা নেই প্যাসিফিক মোটরসেরও। কিন্তু ছেদ পড়েনি বিলাসী-রাজকীয় জীবনযাপনে। এ গল্প ফয়সাল মোরশেদ খানের। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের ছেলে তিনি।

দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত মুনাফা ও লুণ্ঠিত অর্থে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পদ গড়েছেন ফয়সাল মোরশেদ খান। তার ব্যবসার কেন্দ্র ছিল সিঙ্গাপুর। এশিয়ার খুদে ধনী দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যখন ধনকুবেররা ফ্ল্যাট কিনেই ক্ষান্ত হতেন, তখন সেখানে রাজকীয় বাড়ি কিনেছিলেন ফয়সাল মোরশেদ খান। সে বাড়িতে আছে সুপ্রশস্ত লন, আছে সুইমিং পুলও। যদিও বাড়িটিতে তালা দিয়ে এখন দুবাইয়ে আস্তানা গেড়েছেন এযুবরাজ। বাড়ি কিনেছেন দুবাইয়েও। স্ত্রী ও সন্তানরা বাস করছেন লন্ডনের বেকার স্ট্রিটে কেনা বাড়িতে। সেখানে স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করছে তার সন্তানরা।

সিঙ্গাপুর থেকে বর্তমানে দুবাইয়ের কনরাড টাওয়ারে ব্যবসার মূল কেন্দ্র স্থাপন করেছেন ফয়সাল মোরশেদ খান। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকং, শ্রীলংকা, আমিরাত, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠরা জানান, সিটিসেলের শেয়ার বিক্রির অর্থ গিয়েছিল সিঙ্গাপুরে। সে অর্থেই সেখানে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন ফয়সাল মোরশেদ। এছাড়া এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিট থেকে পাচারকৃত অর্থ দুবাইয়ে বিনিয়োগ করেছেন তিনি। এ অর্থ পাচারে তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছিলেন এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক। একদিনেই পাচার হয়েছিল ২০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সবজি বাগান কিনেছেন।

শ্রীলংকায়ও বিপুল বিনিয়োগ আছে ফয়সাল মোরশেদ খানের। দেশটির আমানা ব্যাংকের প্রায় ২০ শতাংশ শেয়ারের বেনামি মালিক তিনি। এবি ব্যাংকেরও বিনিয়োগ আছে আমানা ব্যাংকে। এছাড়া ফয়সাল মোরশেদ খান শ্রীলংকায় চা বাগানও কিনেছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন।

দেশের প্রথম সেলফোন অপারেটর সিটিসেলের মালিকানায় ছিলেন মোরশেদ খান। ১৯৮৯ সালে যাত্রা করার পর দেশে একচেটিয়া ব্যবসা করেছে কোম্পানিটি। যদিও দেনার দায়ে ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় সিটিসেল। দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক লিমিটেডের মালিকানায়ও ছিলেন মোরশেদ খান। কিন্তু ঋণের নামে লুণ্ঠনের শিকার ব্যাংকটির পরিস্থিতিও এখন নাজুক। মোরশেদ খানের হাতে গড়া দেশের প্রথম ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি আমদানিকারক প্যাসিফিক মোটরস। জাপানের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠাননিশান ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ি দেশের বাজারে বিপণন করে প্রতিষ্ঠানটি।

এটির অবস্থাও ভালো নয় এখন। মূলত ফয়সাল মোরশেদ খানের হাতেই প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন শুরু হয়

২০০১ সালে মোরশেদ খান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলে সব ব্যবসায় তার স্থলাভিষিক্ত হন ছেলে ফয়সাল মোরশেদ। দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন প্যাসিফিক মোটরসেরও। এসব ব্যবসা থেকে পুঁজিও গঠন করেছেন তিনি। সে পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকং, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে।

সূত্রমতে, সিঙ্গাপুরে টেলিকম, রিয়েল এস্টেট ও ঠিকাদারি ব্যবসায় বড় বিনিয়োগ আছে ফয়সাল মোরশেদের। বেনামি বিনিয়োগ আছে শ্রীলংকার আমানা ব্যাংকে। হংকং ও লন্ডনেও বিপুল বিনিয়োগ আছে তার। এর মধ্যে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আটকে আছে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পৃথিবীর দেশে দেশে এসব বিনিয়োগের পুঁজি গিয়েছে বাংলাদেশ থেকেই।

মোরশেদ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য জানতে ২০০৯ সালে হংকংয়ে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্টের (এমএলএআর) আওতায় দেয়া ওই চিঠির উত্তরে হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা জমা ও উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেয়া ওইসব তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খানের দায়েরকৃত মামলার এজাহারের তথ্যমতে, হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে মোরশেদ খান, ফয়সাল মোরশেদ খানসহ তাদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর ১১টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া যায়। ২০০১ সাল-পরবর্তী সময়ে এসব ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এর মধ্যে আটটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৫ মার্কিন ডলার। হংকং ডলারের তিনটি হিসাবে জমা হয় বাকি অর্থ। যদিও জমাকৃত অর্থের বড় অংশই বিভিন্ন সময় তুলে নিয়েছেন তারা।

হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সে ব্যাংকে মার্কিন ও হংকং ডলারে পরিচালিত দুটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে ফয়সাল মোরশেদ খানের নামে। বাংলাদেশ থেকে ইস্যুকৃত ডব্লিউ-০৫২৬৪৩৫ নং পাসপোর্ট ব্যবহার করে এ দুটি ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন তিনি। এর মধ্যে মার্কিন ডলারে পরিচালিত সঞ্চয়ী হিসাবটির নম্বর ৩১৭-১-০৩৩৭৪২-১। ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ ব্যাংক হিসাব চালু করা হয়। ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবটিতে অর্থের স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ২৬ হাজার ২৭০ মার্কিন ডলার। ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ব্যাংক হিসাবে ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৫ মার্কিন ডলার জমা হয়। একই সময়ে উত্তোলন করা হয় ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলার। ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফয়সাল মোরশেদ খানের এ ব্যাংক হিসাবে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ মার্কিন ডলার জমা ছিল।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে হংকংয়ের মুদ্রায় খোলা ব্যাংক হিসাবটির নম্বর ছিল ৩১৭-১-০২৯২৯১-৬। ফয়সাল মোরশেদ খানের বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে এ ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছিল ২০০১ সালের ২০ মার্চ। ২০১১ সালের ৩০ জুলাই ব্যাংক হিসাবটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময়ে ব্যাংক হিসাবটিতে জমা হয়েছিল ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ হংকং ডলার। জমাকৃত পুরো অর্থই ২০১১ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে তুলে নেয়া হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া বিদেশে ব্যাংক হিসাব খোলা ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট-১৯৪৭-এর ৫ ও ৯ ধারার লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অনুসন্ধানের তথ্য আমরা প্রকাশ করতে পারি না। তবে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচারসংক্রান্ত বিষয়ে দুদক বা অন্য কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যের প্রয়োজন হলে বিএফআইইউর সহযোগিতা চাওয়া হয়। এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হিসেবে তখন আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের কাছে তথ্য চাইতে পারি। একই সঙ্গে পাচার করা অর্থ ও পাচারকারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সহযোগিতা করতে পারি।

২০০১ সালে ফয়সাল মোরশেদ খান এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ব্যাংকটির প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে তার একক সিদ্ধান্তে। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা তাকে সম্বোধন করেনএফএমকে নামে। এফএমকে নামটি এবি ব্যাংকের প্রত্যেক কর্মকর্তার কাছেই আতঙ্কের।

এবি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ব্যাংকটির সব বড় ঋণের পেছনে ছিল ফয়সাল মোরশেদ খানের তদবির। ওই গ্রাহকদের দেয়া ঋণের বড় অংশই গিয়েছে ফয়সাল মোরশেদের হিসাবে। ফলে এরই মধ্যে তদবিরে বিতরণকৃত ঋণের বেশির ভাগ খেলাপির খাতায় উঠেছে।

এবি ব্যাংকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ রয়েছে এমন একজন গ্রাহক সম্প্রতি তার ঘনিষ্ঠজনের কাছে আক্ষেপ করে বলেন, আমার নামে দেয়া ঋণের বড় অংশই ফয়সাল মোরশেদ খান নিয়েছেন। অথচ এখন ব্যাংক আমাকে অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এত টাকা আমি কোত্থেকে ফেরত দেব।

২০০৭ সালে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত এবি ব্যাংকের প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়ন্ত্রক ছিলেন ফয়সাল মোরশেদ খান। তার ইশারাতেই ব্যাংকটির বড় বড় ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এসব ঋণ খেলাপি হওয়ায় বর্তমানে বিপদে পড়েছে ব্যাংকটি। যদিও এবি ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলার আসামি হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় সব শীর্ষ কর্মকর্তা।

২০১৪ ও ২০১৫ সালে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবি ব্যাংক থেকে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ডলার বা প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ঋণের নামে বিদেশে পাচারের সত্যতা পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বড় অংকের এ অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্লোবাল এমই জেনারেল ট্রেডিং ও সেমাট সিটি জেনারেল ট্রেডিংকে ৩ কোটি ৭ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে এবি ব্যাংক। সিঙ্গাপুরের এটিজেড কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেড ও ইউরোকার হোল্ডিং পিটিওয়াই লিমিটেডকে ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছিল ব্যাংকটি। কিন্তু চারটি ঋণই জালিয়াতির মধ্যমে দেয়া হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে।

সংশ্লিষ্ট ঋণের প্রস্তাব যথাযথভাবে বিচার-বিশ্লেষণ না করা, ইকুইটির তুলনায় বেশি ঋণ মঞ্জুরি, অপর্যাপ্ত জামানত ও ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয় এবি ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এছাড়া ঋণের আড়ালে বাংলাদেশী স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে স্থানান্তর হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় এতে। মূলত অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে বিতরণকৃত চারটি ঋণের অন্যতম সুবিধাভোগী এম মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মোটরস।

বড় অংকের এ ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েক দফায় চিঠি দেয় এবি ব্যাংককে। যদিও এ ঋণের মধ্যে ২ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার আদায় করতে পেরেছে। বাকি ৩ কোটি ৯৩ লাখ ২৩ হাজার ডলার বা প্রায় ৩১৫ কোটি টাকাই নাম লিখিয়েছে খেলাপি ঋণের খাতায়।

বিপুল অংকের এ অর্থ বিদেশে পাচার করার অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। ওই মামলায় আসামি হয়ে গ্রেফতার হন এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক। মূলত ফয়সাল মোরশেদ খানের চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এখন আবারো চা বাগানের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

লন্ডনে ফয়সাল মোরশেদ খানের মিলেনিয়াম হোল্ডিং নামে একটি কোম্পানি রয়েছে। এ কোম্পানির অধীনে বাংলাদেশে চারটি চা বাগান পরিচালিত হয়। এগুলো হলো নয়াপাড়া চা বাগান, মিরতিঙ্গা চা বাগান, লালচান্দ চা বাগান ও ডিউণ্ডি চা বাগান। এসব চা বাগানের অবস্থান হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায়। এ চার চা বাগানের মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। মূলত এসব চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন ওয়াহিদুল হক

বিপর্যস্ত এবি ব্যাংককে টেনে তুলতে হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদায়ী বছরের শুরুর দিকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ (রুমি) আলী। এরপর ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত শীর্ষ নির্বাহী তারেক আফজালকে পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়। পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তনের পর এবি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এবি ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডুবিয়ে দিলেও নিজে বেশ ভালোই আছেন ফয়সাল মোরশেদ খান। লন্ডনের মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা এ যুবরাজ এক দশকের বেশি সময় ধরে বাস করছেন লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে। মাঝেমধ্যে দেশে এলে নিত্যনতুন মডেলের ল্যান্ড রোভার গাড়ি ব্যবহার করেন। ফয়সাল মোরশেদের গাড়ি রাস্তায় বের হলে নিশান ব্র্যান্ডের অন্তত এক ডজন গাড়ি হর্ন বাজিয়ে স্কট দেয়। এক মাস আগেও আটটি ল্যান্ড রোভার গাড়িবহর নিয়ে বন্ধুবান্ধবসহ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় পৈত্রিক বাড়িতে যান তিনি। যদিও দেশে এলে থাকেন চট্টগ্রামের সার্সন রোডে পাহাড়ের ওপর এ্যাভন হাউজ নামের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়িতে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন