লন্ডনভিত্তিক কম্পিউটার ভিশন স্টার্টআপ স্কেপ টেকনোলজিস অধিগ্রহণ করেছে ফেসবুক। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান খুঁজে বের করার ক্লাউডভিত্তিক সেবা দেয় তারা। তবে এ অধিগ্রহণ চুক্তির বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি ফেসবুক। সূত্র জানিয়েছে, অধিগ্রহণকৃত ওই প্রতিষ্ঠানের ওপর ফেসবুক ইনকরপোরেশনের ৭৫ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। খবর এনগ্যাজেট।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেক ক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কেপ টেকনোলজিসের সাম্প্রতিক বাজারমূল্য বিবেচনায় এ অধিগ্রহণের মূল্য ৪ কোটি ডলারের মতো হতে পারে।
এছাড়া স্কেপের আগের বিনিয়োগকারীর কয়েকজন প্রতিনিধি স্কেপ বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর বিপরীতে বোর্ডটিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ফেসবুকের দুজন নির্বাহী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অধিকৃত এ স্টার্টআপ ক্লাউডভিত্তিক ‘ভিজুয়াল পজিশনিং সার্ভিস’ দেয়। তাদের প্রযুক্তি ছবিকে ত্রিমাত্রিক মানচিত্রে রূপান্তর করতে সক্ষম। এতে পুরো শহরের মধ্যে ব্যবহারকারীর অবস্থান নিখুঁতভাবে দেখানো সম্ভব হয়। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর কোথায় কী হচ্ছে, সেসবও জানানো যায় স্কেপের এআই প্রযুক্তিসম্পন্ন ত্রিমাত্রিক মানচিত্রের মাধ্যমে।
তবে এ স্টার্টআপকে দিয়ে ফেসবুক ঠিক কোন ধরনের কাজ করতে চায়, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।
২০১৭ সালে স্কেপ টেকনোলজিস প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে তারা কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিজুয়াল পজিশনিং সার্ভিস দেয়া শুরু করে। এটি করতে গিয়ে ডেভেলপাররা শুধু জিপিএসের সক্ষমতার বাইরে ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম প্রযুক্তি তৈরি করেন। ফেসবুক এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস তৈরিতে আবার নজর দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
এ প্রযুক্তির আরো কিছু কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন—গ্রাহক কোনো ছবি বা ভিডিও ধারণ করে ফেসবুক চেক-ইন দিতে চাইলে সেটি আরো যথার্থভাবে দিতে পারবেন। অবশ্য ব্যবহারকারীর অবস্থান ট্র্যাকিং সম্পর্কিত যে উদ্বেগ ও অনাস্থা রয়েছে, সেটির কোনো সমাধান এটি দিতে পারবে না। তার পরও এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলেই আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফেসবুকের কর্মকর্তারা।