ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়া প্রসঙ্গে ইসি সচিব

অনাস্থা নয়, ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ভোট দিতে আসেননি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা নয়, বরং ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ভোট দিতে আসেননি। আর কারণেই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসি সচিব বলেন, অনাস্থার কারণে ভোটে যায়নি, এটা আমার কাছে মনে হয়নি। অনাস্থার কারণে যদি ভোটে না যেত, তাহলে যারা সরকারি দল তাদের তো অন্তত ভোটে অনাস্থা নেই। তাদের সব ভোটার যদি ভোট দিত, তাহলেও তো এত কম ভোট পড়ত না। তার মানে হলো, তাদেরও অনেক ভোটার ভোট দিতে যান নাই। যারা সরকারকে সমর্থন করেন, তাদের অনেকেই হয়তো ভোট না দিতে গেলেও সমস্যা নেইএমন মনোভাব থেকে ভোট দিতে যান নাই। এছাড়া ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যান্য কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জনগণ ছুটি পেয়েছে, অনেকে ছুটি ভোগ করছে। কেউ কেউ ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

মো. আলমগীর বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৯ দশমিক শূন্য শূন্য শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে দুই সিটিতে। ভোটের হারে আমরা অসন্তুষ্ট না। আমাদের ধারণা ছিল, শতকরা ৫০ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু তার চেয়ে কম পড়েছে। ভোট কাস্টিংয়ের দিক থেকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না।

নির্বাচনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল দাবি করে ইসি সচিব বলেন, পরিবেশ ভালো ছিল। কোথাও তেমন কোনো গণ্ডগোল হয়নি। কাউকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পক্ষপাতদুষ্ট ছিল না। সবকিছুই সঠিক ছিল।

ভোটারদের আনতে না পারার ব্যর্থতা নির্বাচন কমিশনের কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মোটেই না। কারণ ভোটকেন্দ্রে আসার দায়িত্ব ভোটারের। বিয়ের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্ব আমার, কিন্তু দাওয়াতে আসবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার। উন্নত দেশগুলোতে ভোটের হার অনেক কম। অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ ভোট দিতে আসে না। অস্ট্রেলিয়া সরকার নির্বাচন কমিশন কী ব্যর্থ? মোটেই না। এজন্য সেখানে আইন করা হয়েছে যে ভোট না দিতে এলে ১০০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। তারা ১০০ ডলার জরিমানা দেয়, তার পরও ভোট দিতে যায় না।

গোপন কক্ষে অবস্থানের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে খুবই অল্প মাত্রায় আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।

বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটিও আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি। বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। দুই অভিযোগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশনে লিখিতভাবে এলে তদন্ত করা হবে, নাহলে নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন