এই বাংলাদেশ পাপনের অচেনা!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ মাঠে না গড়ালেও প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। সামনে টি২০ বিশ্বকাপ থাকায় সিরিজটিকে পাখির চোখ করেছিল বিসিবি। কিন্তু দুই ম্যাচ থেকে তেমন কোনো প্রাপ্তিই নেই। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আগ্রাসী মনোভাবও ছিল অনুপস্থিত। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে বাংলাদেশকে অচেনাই মনে হলো বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। পাশাপাশি পাকিস্তানের দেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথাও জানান তিনি।

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেন, ‘অনেক দিন পর বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হয়েছে এটা বাংলাদেশ দল না। মনে হয়েছে সাধারণ খেলার উল্টোটা খেলেছে দল। রকম পরিস্থিতি কখনো দেখিনি। ১২-১৪ ওভার যাওয়ার পরও রকম রক্ষণাত্মক ক্রিকেট দেখিনি। এটা একদম নতুন ব্যাপার।

এমনকি পরপর দুই ম্যাচে বাংলাদেশের টস জিতে ব্যাটিং নেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পাপন, ‘এত বছর পর পাকিস্তানে এলাম। ব্যাটিং নিলাম কেন টস জিতে? আমরা চেজ ভালোই করি। ওরা (খেলোয়াড়রা) বলছিল এটা ব্যাটিং পিচ, তাই নিয়েছে। খেলা দেখে তা মনে হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ওরা বলেছিল ১৫০-এর লক্ষ্য। এখন তো ১৮০ মিনিমাম ধরা হয়। কিন্তু ওরা হয়তো মনে করেছে ১৫০ যথেষ্ট।

সাম্প্রতিক সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোতে দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একসঙ্গে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বিষয়টিকেও সমস্যা হিসেবে সামনে এনেছেন বোর্ড সভাপতি, ‘এখানে অনেক বিষয় আছে, যা আমরাও ফেস করছি। এখনো আমরা কয়েকটি বিষয়ে স্ট্রাগল করছি। যেমন ধরেন, ভারত সিরিজের ঠিক আগে, তিনদিন আগে শুনলাম সাকিব খেলতে পারবে না। এটা বড় ধাক্কা। ভারতের মতো দেশের সঙ্গে সিরিজের আগে, ওই সময় সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া কঠিন। ওর কোনো রিপ্লেসমেন্ট আমাদের নেই। তামিম গেল না, এটা বড় ধাক্কা। ওপেনিংয়ে নতুন কাউকে খোঁজা দরকার ছিল। আমরা নাঈমকে নামালাম। এবার তামিম ফেরত এলো। এবার মুশফিক বলল যাবে না। এখন চার নিয়ে সমস্যা হলো। আগে থেকে বললে আমরা সমাধান করতে পারি। কিন্তু হঠাত্ করে তো হয় না। এখন সামনের টেস্টে নতুন কাউকে নিলাম। একটা টেস্টের জন্য। একটা টেস্টে খেলানো যায়? অন্তত তিনটা ম্যাচ তো খেলানো দরকার। এরপর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মুশফিক খেলবে। কিন্তু তারপর আবার পাকিস্তানে টেস্ট। তখন আবার চেঞ্জ। প্রতি খেলার আগে পরিবর্তন করা খুব কঠিন।আগে তামিম, সাকিব কিছু সিরিজে যায়নি। এখন মুশফিক গেল না। হঠাত্ করে না করলে এটা আমাদের জন্য সমস্যা। এটা আমাদের সমাধান করতে হবে। কথা বলতে হবে। যোগ করেন পাপন।

সময় পাকিস্তানের দেয়া নিরাপত্তা নিয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বোর্ড প্রধান বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমরা না সিকিউরিটিটা দেখা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। আমরা বলেছিলাম টি২০ দেখে বলব। যে সিকিউরিটি দেখেছি, এর চেয়ে বেশি সিকিউরিটি সম্ভব না। আমরা সিকিউরিটি নিয়ে সন্তুষ্ট। এর পরও যে কোনো জায়গায় যে কোনো কিছু হতে পারে। টেস্ট খেলতে না যাওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ওয়াকওভার দেওয়ার কোনো মানে নেই। আমার মনে হয় আমরা টেস্ট খেলতে যাচ্ছি।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন