গাজীপুরের বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর মৌজায় ৫০ দশমিক ৮৬ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেনাটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। সাজিদা ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে এ জমি কিনবে তারা। জমি ক্রয় বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি টাকা। এ জমিতে ডিপো অফিস করবে রেনাটা।
এর আগে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের ডগরীতে ১৭৩ ডেসিমেল ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলায় ১৩৬ ডেসিমেল জমি কেনার ঘোষণা দেয় রেনাটা লিমিটেড। নিবন্ধন ও অন্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে জমি দুটি কিনতে কোম্পানিটির ব্যয় ধরা হয় যথাক্রমে ৮ কোটি ৩৭ লাখ ও ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গাজীপুরের জমিটি কোম্পানির রাজেন্দ্রপুর কারখানা ও টাঙ্গাইলের জমিটি ডিপো অফিস সম্প্রসারণের কাজে লাগানো হবে বলে কোম্পানিটি জানায়।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেনাটা লিমিটেডের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ১৬ পয়সা। এ হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস বেড়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা বা ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ টাকা ৬৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২২ টাকা ৯১ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে রেনাটা লিমিটেড। এর মধ্যে ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আর বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত নিট মুনাফা হয়েছে ৩৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৪৬ টাকা ৬৩ পয়সা।
আগের হিসাব বছরে সম্মিলিত ইপিএস ছিল ৩৮ টাকা ৫৭ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৩০ টাকা ৯০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯২ টাকা ৫৬ পয়সা।