ইতিহাস গড়ার পর বিলি এইলিশের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে

ফিচার ডেস্ক

জেমস বন্ডফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে নাম লিখিয়ে কিছুদিন আগে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মার্কিন গায়িকা বিলি এইলিশ। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বন্ডের ২৫তম ছবি নো টাইম টু ডাই-এর থিম সং লেখা গাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় দুনিয়ার তাবৎ বন্ড-ভক্তের চোখ বিলি এইলিশকে ঘিরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঘটনাটির পর বছরের গ্র্যামির আসরে মার্কিন টিন সেনসেশন চারটি প্রধান বিভাগের পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছেন। সব মিলিয়ে বিলি এইলিশের মতো ভালো সময় সংগীতভুবনের আর কেউ হয়তো মুহূর্তে উপভোগ করছেন না।

এদিকে গ্র্যামির আসরে সর্বকনিষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে ইতিহাস গড়ার পর বিলি এইলিশের প্রতি বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে দুনিয়াজুড়ে, গানের বাজারেও হু হু করে বেড়ে চলেছে তার কদর। নিয়ে যথারীতি ব্যবসায়িক তথ্যপ্রমাণ হাজির করেছে বিলবোর্ড। বিলবোর্ডের তথ্যানুসারে, ২৬ জানুয়ারি এইলিশের অ্যালবাম গানের ক্যাটালগ ১৫ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে, যা ২৫ জানুয়ারি বিক্রি হয়েছিল সাত হাজার কপি। অর্থাৎ মাত্র একদিনের ব্যবধানে সংখ্যার হার বেড়েছে শতকরা ১০৯ ভাগ।

এইলিশের দুটি অ্যালবামহোয়েন উই অল ফল অ্যাস্লিপ, হোয়ার ডু উই গো?’ ডোন্ট স্মাইল অ্যাট মি ২৬ জানুয়ারি দুই হাজার কপির বেশি বিক্রি হয়েছে। এর আগের দিনের চেয়ে হার ৪৬ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে ডাউনলোডের দিক থেকেও একই সময়ে ১২৭ শতাংশ বেড়েছে, ছয় থেকে বেড়ে যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজারে।

প্রথম নারী হিসেবে প্রথমবারের মতো গ্র্যামির একই বছরের আসরে সেরা চার বিভাগে পুরস্কৃত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিলি এইলিশ ইতিহাস রচনা করেছেন। বেস্ট নিউ আর্টিস্ট, রেকর্ড অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার (ব্যাড গাই শিরোনামের গান) অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার (হোয়েন উই অল ফল অ্যাস্লিপ, হোয়ার ডু উই গো?) বিভাগে সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এইলিশই একমাত্র শিল্পী, যিনি একই বছরে সেরা চার বিভাগে গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন। প্রথম শিল্পী হিসেবে ১৯৮১ সালে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ক্রিস্টোফার ক্রস।

 

সূত্র: রয়টার্স, রোলিংস্টোন বিলবোর্ড

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন