৩৪৬ ডলারে কেনা ঘড়ির দাম উঠেছে ৪ লাখ ডলার! অবশ্য এটি যেনতেন ঘড়ি নয়- ৪৬ বছর আগে কেনা একটি রোলেক্স হাতঘড়ি। একটি অ্যানটিক জিনিসের সংগ্রহ ও প্রদর্শন অনুষ্ঠানে এ ঘড়িটি বেচতে গিয়ে দাম শুনে বিক্রেতার রীতিমতো ভিড়মি খেয়ে পড়ার যাওয়ার জোগার! মূল্যনির্ধারক অবশ্য বলেছেন ঘড়ির সঙ্গে এর সংশ্লিষ্ট নথিপত্র এখনো যতোটা অক্ষত অবস্থায় আছে তাতে ৫ থেকে ৭ লাখ ডলারেও বিক্রি হতে পারে!
আমেরিকার পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের ‘অ্যান্টিক রোডশো’ অনুষ্ঠানের গত সোমবার পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের ফার্গোতে বোনানজাভিল ইতিহাস জাদুঘরে। বিভিন্ন অ্যানটিক জিনিসের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ঘুরে বেড়ায় এর আয়োজকরা। জাদুঘরে। এ অনুষ্ঠানে রোলেক্স ঘড়িটি নিয়ে আসেন বিমানবাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা।
তিনি রোলেক্স অয়েস্টার কসমোগ্রাফ মডেলের ঘড়িটি কিনেছিলেন কর্মরত থাকতে। কারণ শুনেছিলেন স্কুবা ডাইভিংয়ের ঘড়িটি বেশ ভালো। ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে তিনি ঘড়িটি অর্ডার করেন আর হাতে ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে। ওই সময় ১০ শতাংশ মূল্যছাড়ের পর ৩৪৫ দশমিক ৯৭ ডলারে কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু তখন এটাও অনেক দাম। কারণ এ ঘড়িটি কিনতে তাকে প্রায় এক মাসের পুরো বেতন খরচ করতে হয়েছিল। ঘড়িটার এতোই সুন্দর ছিল যে এটি পরে লোনা পানিতে নামতে ইচ্ছে করেনি তার। যক্ষের ধনের মতো ৪০ বছর আগলে রেখেছিলেন। তবে মাঝে মধ্যে বাক্স খুলে দেখতেন, ঘড়িটি ঠিকঠাক আছে কি না।
রোলেক্সের অয়েস্টার কসজোগ্রাফ মডেলের ঘড়ি প্রথম বানানো হয় ১৯৭১ সালে। বিমানবাহিনীর সাবেক ওই কর্মকর্তার ঘড়িটি কেবল নিখুঁত অবস্থায় ছিল তা নয়, সঙ্গে ছিল ওয়ারেন্টির কাগজপত্র, কসমোগ্রাফের জন্য মূল রোলেক্স ব্রোশিউর, দুটি রশিদ এবং রোলেক্সের দুটি মূল বাক্স।
মূল্যনির্ধারক পিটার প্লেন বলেন, সংগ্রাহকরা এই ঘড়িটি পছন্দ করবেন কারণ পল নিউম্যান ১৯৬৯ সালে ‘উইনিং’ সিনেমায় এরকমই একটি ঘড়ি পরেছিলেন। তাছাড়া ঘড়ির সঙ্গে কাগজপত্রগুলোও একেবারে অক্ষত অবস্থায় আছে। বিশ্বে এই মডেলের ঘড়ি দ্বিতীয়টি এর চেয়ে ভালো অবস্থায় পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ।
বিলাসবহুল ঘড়ি প্রস্তুতকারক সুইস প্রতিষ্ঠান রোলেক্স। লাখ লাখ ডলারে বিক্রি হয় এক একটি ঘড়ি, যা শোভা পায় বিশ্বখ্যাত মানুষের হাতে। রোলেক্সের বর্তমানকালের সবচেয়ে দামি ঘড়ির মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
সূত্র: সিএনএন