চীনের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গবেষণাগারে নতুন করে করোনাভাইরাসটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যাকে তারা নতুন এই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এক ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
এই গবেষণালব্ধ ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাগারে পাঠানো হবে। এটি ভাইরাস নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য সহায়তা করবে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস। চীনের বিজ্ঞানীরাও ভাইরাসটি পুনরায় তৈরি করেছেন এবং এর জিনোম সিকোয়েন্সটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠিয়েছেন।
এদিকে চীনে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ জনে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ ল্যাবের গবেষকরা বলেছেন, গত শুক্রবার তাদের কাছে সংক্রামিত রোগীর একটি নমুনা পাঠানো হয়। এই নমুনা থেকেই তারা গবেষণাগারে ভাইরাসটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।
পিটার দোহার্টি ইনস্টিটিউট ফর ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটির ড. মাইক ক্যাটন বলেছেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এ জাতীয় একটি ঘটনার জন্য পরিকল্পনা করে আসছি এবং সে কারণেই আমরা এতো দ্রুত এর সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নমুনাটি প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষার জন্য ‘নিয়ন্ত্রণ উপাদান’ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরই মধ্যে জাপান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্কটল্যান্ডসহ বিশ্বের ১৬টি দেশে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র: বিবিসি