‘পাপেট কখনো ছাড়তে পারব না’

ফিচার প্রতিবেদক

লাইট-ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয়শুধু কাজটির ওপর নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেননি অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ নাটক, চলচ্চিত্র ওয়েব সিরিজে নিয়মিত অভিনয়ের বাইরে তিনি নানা কাজকর্মে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন নিয়মিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজটি হলো পাপেট থিয়েটার। পাপেটকে ঘিরে নওশাবার রয়েছে বিস্তর পরিকল্পনা। এছাড়া অন্যান্য কাজ তো রয়েছেই। এসব নিয়ে টকিজের সঙ্গে কথা বলেছেন নওশাবা।

আপনাদের সংগঠন টুগেদার উই ক্যানের ব্যানারে গত বছরমুক্তি আলোয় আলোয়শিরোনামের একটি পাপেট শো নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। চলতি বছর নতুন কোনো পরিকল্পনা করছেন কি?

মুক্তি আলোয় আলোয়করে আমরা যে প্রশংসা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম, তা ছিল সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। মূলত কারণে ওই কাজের পর পরই আমাদের সংগঠনের ব্যানারে নতুন কিছু করার উৎসাহ বোধ করি এবং বেশকিছু চিন্তাভাবনা শুরু করি। বছর আমরা আরো চমকপ্রদ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে হাজির হব, এটি প্রায় নিশ্চিত এবং সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।

অভিনয় পাপেট থিয়েটার দুই বিষয়ের কোনটিতে কাজ করে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন মুহূর্তে?

সত্যি বলতে আমি একদমই সিনেমার মানুষ। এর চেয়ে বড় কথা, অভিনয়কে বাদ রেখে এককভাবে কিছু করার ইচ্ছা নেই। আবার এটাও সত্য, আমি চাইলেও পাপেট কখনো ছাড়তে পারব না, পাপেট আমার মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে বাসা বেঁধেছে। সবমিলিয়ে তাই বলতে হয়, অভিনয় পাপেট থিয়েটার দুটোই আমার প্রচণ্ড ভালোবাসার জায়গা। পাপেট থিয়েটার আসলে আমার প্রেম, ভেতরের অনুভূতি। আরেকটা কথা বলতে হয়, আমি কখনই শুধু সিনে থাকার জন্য কাজ করতে চাইনি, এখনো চাই না।

এখন সময়ে হুট করে যদি আবারো কোনো ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে যান, তাহলে কী করবেন?

ভালো ছবির প্রস্তাব এলে করব না কেন? রকম কোনো কিছু এলে তো এখনই অভিনয় করতে কোনো সমস্যা নেই। আসলে সেরকম মানের ছবির সংখ্যাই তো কম। ফলে এমনটা যে যখন তখন ঘটে যাবে, সে নিশ্চয়তাও নেই।

শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খানের গানের মডেল হয়েছিলেন সম্প্রতি...

হ্যাঁ, তার একটি গানে আমি পারফর্ম করেছি। এটি প্রচারে আসার পর এখনো প্রচুর প্রশংসা পাচ্ছি। আসলে তার সঙ্গে আমার কখনো দেখা তো হয়ইনি, উল্টো প্রস্তাব আসার পর বিশ্বাসও করিনি, গানটি রাহাত ফতেহ আলী খানের। তাই তার মতো শিল্পীর গানে আমাকে পারফর্মের আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারটিতে বিস্মিত বোধ করেছিলাম।

রাহাত ফতেহ আলীর গান শোনেন?

বহু বছর আগে থেকেই শুনি। আমি তার গানের ভীষণ ভক্ত। আমার কাছে মনে হয়, নুসরাত ফতেহ আলী খানের গানের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা বেশি আর রাহাত ফতেহ আলীর মধ্যে প্রেম ভাব বেশি। তবে এত প্রিয় শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও তাকে কাছ থেকে দেখিনি, এজন্য আফসোস হয়। যদিও তার গানে পারফর্ম করার সুযোগ পেয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এতটুকু ভুল করিনি।

হইচই প্লাটফর্মের জন্য একেন বাবু ঢাকা রহস্য সিরিজে অভিনয় করেছেন। কলকাতার দর্শকদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন?

কলকাতার দর্শকদের অনেকে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে তাদের ইতিবাচক ফিডব্যাক দিয়েছেন। শুধু আমি একা নই, তাদের কথার মধ্য দিয়ে বুঝতে পেরেছি, আমাদের দেশের অন্য কলাকুশলীদের নিয়েও ওখানকার সাধারণ দর্শকদের ভীষণ আগ্রহ।

সামনের দিনগুলোয় কলকাতায় আরো কাজ করার ইচ্ছা কেমন?

একজন অভিনেত্রীর জায়গা থেকে কলকাতার নির্মাতাদের সঙ্গে অবশ্যই অনেক কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। আমাকে যদি ভালো গল্পে ভালো চরিত্রে নেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই কাজ করব।

অন্যান্য কাজকর্মের কী অবস্থা?

আমার অভিনীত দুটো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ডাবিং শেষ করলাম। একটির নাম দ্য ন্যাকেড সৌল, অন্যটি দি আনওয়ান্টেড টুইন। দ্য ন্যাকেড সৌলের গল্প একদমই ভিন্ন মাত্রার। অন্যদিকে দি আনওয়ান্ডেট টুইনের গল্প হলো সত্য ঘটনা অবলম্বনে। ১৬ বছর বয়সে একটি মেয়ের যমজ সন্তান জন্মদান এবং তাদের ঘিরে মায়ের গড়ে ওঠা একের পর এক ঘটনা নিয়ে নাটকটির কাহিনী গড়ে উঠেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন