দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২০২০ (বিডিএফ) বৈঠক শুরু হচ্ছে আগামীকাল। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সামনে রেখে এ আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হবে। কারণ তারা এ দেশে সরকারকে সঠিক উপায়ে তথ্য না জানিয়ে প্রতি বছর ৩০-৩৫ কোটি ডলার ব্যয় করেন। বৈঠকে একই সঙ্গে শর্তহীনভাবে অর্থায়নের বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের বিডিএফ ২০২০-এর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন তিনি।
ইআরডি সচিব বলেন, অনেক উন্নয়ন সহযোগীর অর্থ ব্যয়ের তথ্যের জন্য এমআইএস গঠন করা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত তথ্য না জানিয়ে শুধু এনজিও ব্যুরোকে জানিয়ে অনেক সময় অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক কনভেনশনের চুক্তির বিভিন্ন ধারার পরিপন্থী। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক মানে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ ব্যয় করব। সর্বোচ্চ সুশাসন বজায় রাখব। তবে উন্নয়ন সহযোগীদেরকেও যে প্রতিশ্রুতি আছে তা পরিপালন করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এবারের সম্মেলনে ইফেক্টিভ পার্টনারশিপ চাইবে বাংলাদেশ।
সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব বলেন, আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৩০-৩৩ শতাংশ উন্নয়ন সহযোগীদের মাধ্যমে আসে। তাদের এ অর্থ আনার ক্ষেত্রে এককভাবে মুখ্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ইআরডি। আর এ ধরনের সম্মেলনে উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের প্রয়োজনীয়তা ও দক্ষতার বিষয়গুলো জানতে পারেন।
২৯-৩০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এ বৈঠকের আয়োজন করেছে ইআরডি। এবারের বৈঠকটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মূল স্লোগান হচ্ছে—‘ইফেক্টিভ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। বৈঠকে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বহু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শীর্ষস্থানীয়রা অংশগ্রহণ করবেন। সব মিলিয়ে ৩৫-৪০টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ আশা করছে ইআরডি।
