শেবাচিম হাসপাতাল

অর্ধশত অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের জমিতে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি চক্র। হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখে এসব স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করা হলেও নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। এসব স্থাপনায় দেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রতিদিন প্রধান লাইন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলেও টাকা পাচ্ছে না ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)

অবৈধ এসব স্থাপনায় দেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রতিদিন সেখান থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা ভাড়া আদায় করছে ওই চক্রটি। দখলদাররা দাবি করেছেন, তারা প্রশাসনকেম্যানেজকরে ঘর তুলে ব্যবসা করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালসংলগ্ন বান্দ রোডের দক্ষিণ পাশে চতুর্থ শ্রেণীর আবাসিক এলাকা। বান্দ রোডের মূল সড়ক থেকে আবাসিক এলাকায় প্রবেশের জন্য প্রায় ১৫ ফুট প্রশস্ত। সড়কের দুই পাশে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে। ঘরগুলোয় খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান খুলে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। আবাসিক এলাকার পুকুরের মধ্যেও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব ঘর কারা নির্মাণ করেছেন, বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা মালিকদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে পরিচয় গোপন করে ঘর ভাড়া নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে জালাল আহম্মেদ কাজল নামে একজনের ফোন নম্বর দেন ব্যবসায়ীরা।

এক পর্যায় জালাল আহম্মেদ কাজলকে ফোন দিয়ে ঘর ভাড়া নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি জানান, প্রতিটি ঘর থেকে আকারভেদে দৈনিক ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়। অগ্রিম নেয়া হয় ৩০ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিল ফ্রি। উচ্ছেদের মুখে পড়তে হবে কিনা জানতে চাইলে ম্যানেজ হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোদাচ্ছের কবির বণিক বার্তাকে বলেন, আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখ দখলের সঙ্গে হাসপাতালের কোনো কর্মচারী জড়িত নেই। স্থানীয়রা ওই ঘর তুলেছে।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে প্রথমে বিষয়ে জানতে পেরেছি। আজকের মধ্যেই সেখানে অভিযান পরিচালনা করে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসনে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন