হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উত্তর আশ্রাফপুর এলাকায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি রিট পিটিশনের শুনানি শেষে গত ১৫ ডিসেম্বর কাজ বন্ধসহ রুলের জবাব দাখিলের জন্য হাইকোর্ট নির্দেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর উত্তর আশ্রাফপুর (হালুয়াপাড়া) এলাকার জয়নাল আবেদীন ও মোশারফ হোসেন সিটি করপোরেশন থেকে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন নেন। পরে নকশা অনুমোদনের ছাড়পত্রের শর্তাবলি ও ইমারত নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মাণাধীন ভবনের চারপাশে জমি ছাড় না দিয়ে তারা ছয়তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে নির্মাণাধীন ওই ভবনের পাশের বাসিন্দা ইউসুফ আলী, ইউনুছ মিয়া ও ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ কুসিক মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেন। কিন্তু সিটি কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ইউসুফ আলী ও ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে পৃথক রিট পিটিশন দাখিল করেন। উভয় রিট পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ১৫ ডিসেম্বর পৃথক আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া তাসনিম জানান, আদালত মো. ইউসুফ আলীর মামলায় কুমিল্লা সিটি মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভবন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের অনুমোদিত নকশাবহির্ভূত ভবনের অংশ ভাঙার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে রুল ইস্যু করেন এবং অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিকুল আলম হেলালের মামলায় একই কারণ জানতে চেয়ে ভবন নির্মাণে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুলের জবাব দাখিলের আদেশ দেন।
মামলার বাদী ইউসুফ আলী ও ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিকুল আলম হেলাল জানান, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ভবন মালিক অতিরিক্ত শ্রমিক কাজে লাগিয়ে দিন-রাত নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি গতকাল সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য নির্মাণাধীন ভবনের মালিক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দুটি রিট পিটিশনের পৃথক আদেশের কপি আমরা পেয়েছি এবং পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তা সিটি করপোরেশনের আইনজীবীর কাছে দেয়া হয়েছে।