চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আজিজ পাইপস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা। এ হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৮ পয়সা বা ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আজিজ পাইপসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৩ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আজিজ পাইপস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৬ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৭৪ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল আজিজ পাইপস। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্যও একই হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল আজিজ পাইপস শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৮৫ টাকা। সমাপনী দর ছিল ৮৩ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৮০ টাকা ও ১৮৬ টাকা।
আজিজ পাইপসের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান ২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ১২৫টি শেয়ারের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬১ দশমিক ৯৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১০৪ দশমিক ২৫, সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৯৪ দশমিক ৭৭।
