আইএমএফের ৮৫০ কোটি ডলারের বেইলআউট প্রয়োজন লেবাননের

বণিক বার্তা ডেস্ক

অর্থনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙা, ভবিষ্যৎ আর্থিক চাহিদা পূরণ প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাড়ে ৮০০ কোটি ডলারের একটি বেইলআউট প্যাকেজ প্রয়োজন হবে লেবাননের। দেশটির পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স (আইআইএফ) কথা জানিয়েছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।

২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক দাতাদের সিডার সম্মেলন থেকে হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে লেবানন। অর্থ পেতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শর্ত পূরণ করতে হবে দেশটিকে। এর বাইরেও লেবাননের নতুন সরকারের আইএমএফের বেইলআউট কর্মসূচির জন্য চেষ্টা করা উচিত বলে আইআইএফের মেনা অঞ্চলবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ গার্বিস ইরাদিয়ান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে লেবানন সরকারে মুদ্রার বহির্মুখী প্রবাহ রোধে অভিন্ন মূলধন নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন স্বল্পমেয়াদে ডলারের সঙ্গে বিনিময় হার বহাল রাখতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।

এক নতুন প্রতিবেদনে ইরাদিয়ান বলেন, আইএমএফের বেইলআউট কর্মসূচির ফলে দেশটি রাজস্ব একীভবনের প্রয়োজনীয় কাঠামো গঠন অর্থনীতির ঘাটতি পূরণে কাঠামোগত সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। অর্থায়নের প্রয়োজন অনুসারে আইএমএফ ঋণ দিয়ে থাকলেও লেবাননের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটবে বলে আমরা আশা করছি। আর্জেন্টিনা আইসল্যান্ডে আইএমএফের সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে এমন ঘটতে দেখা গেছে।

আইএমএফের সহায়তা কর্মসূচি লেবাননের জন্য বহুপক্ষীয় দ্বিপক্ষীয় উৎসগুলো থেকে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহের পথ খুলে দেবে বলে মনে করছেন ইরাদিয়ান।

ওয়াশিংটনভিত্তিক আইআইএফ জানিয়েছে, পরবর্তী পাঁচ বছরের হাজার ৪০০ কোটি ডলার রাজস্ব প্রয়োজনীয়তা পূরণে লেবাননকে বেশকিছু সংস্কার বাস্তবায়ন অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির ১৫ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। এর পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে লেবানন। ২০১৯ সালে জিডিপি দশমিক শতাংশ সংকুচিত হওয়ার পর দেশটির অর্থনীতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। আইআইএফ জানিয়েছে, চলতি বছর জিডিপি দশমিক শতাংশ সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছর লেবাননের রাজস্ব ঘাটতি সম্প্রসারিত হয়েছে এবং জিডিপির অনুপাতে ঋণের হার বেড়ে ১৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। গত নভেম্বরের শেষে দেশটির সরকারি ঋণের পরিমাণ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারে পৌঁছে। সরকারি ঋণের সিংহভাগই দেশটির ব্যাংকগুলোর।

আইআইএফ জানায়, কর ফাঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি সরকারকে রাজস্ব বাড়াতে দরিদ্রদের ওপর চাপ কমিয়ে আনতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন