করোনাভাইরাসের হুমকি ঠেকাতে বিদেশে দলগত সফরে চীনের নিষেধাজ্ঞায় বড় আকারের ধাক্কা খেতে পারে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। থাইল্যান্ডের সরকারি উপাত্তে দেখা গেছে, গত বছর থাইল্যান্ডে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন চীনের হলিডেমেকাররা, যাদের বেশির ভাগই দলগতভাবে সফরে এসেছিলেন। মোট বিদেশী পর্যটকদের এক-চতুর্থাংশই এসেছিলেন চীন থেকে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের বরাতে জানা গেছে, থাইল্যান্ডের জিডিপিতে ২১ শতাংশ অবদান ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের। খবর ব্লুমবার্গ।
থাই মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে এরই মধ্যে দেশটির পর্যটন ও রফতানি বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। বার্ষিক বাজেটে বিশৃঙ্খলা দেশটির প্রবৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দিয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গায় কয়েক মাসের ব্যবধানে ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের শ্লথগতির প্রবৃদ্ধিতে ছিল দেশটি।
ব্যাংককে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ টিম লিলাহাফান এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব একটি হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। থাই বাথের মূল্যস্ফীতিও পর্যটন প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এরই মধ্যে শ্লথগতিতে থাকা অর্থনীতির জন্য তা আরো সংকটের কারণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
বিদেশে দলীয় সফরে সোমবার থেকে চীনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি থাইল্যান্ডের ট্যুরিজম অ্যান্ড ইকুইটি সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।