তুলা আবাদে সর্বোচ্চ হলেও উৎপাদন সক্ষমতায় পিছিয়ে ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ তুলা উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হতে পারে ভারত। তবে পণ্যটির অন্যান্য শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ফলনে ভারতের অবস্থান বেশ পেছনের দিকে। মূলত দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে কৃষিপণ্যটির আবাদ হয়। ফলে তুলার সামগ্রিক উৎপাদনে অন্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে ভারত।

চার দশক ধরে ভারতের তুলা উৎপাদন সক্ষমতা অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশ যেমন চীন, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো তুরস্কের তুলনায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন ভারত পণ্যটির উৎপাদন সক্ষমতায় এতটা পিছিয়ে? আবহাওয়া বা আর্থসামাজিক পার্থক্য এখানে খুব একটা প্রভাব ফেলে না বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। কারণ, উল্লিখিত দেশগুলোর প্রতিটির ভৌগোলিক অবস্থান যেমন ভিন্ন, তেমনি উন্নত উন্নয়নশীল উভয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। তাহলে কেন এমনটা ঘটছে?

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর কারণ হতে পারে তুলার চাষ পদ্ধতির ভিন্নতা। ভারতের কৃষকরা হাইব্রিড তুলার আবাদ করেন। জাতের বীজ প্রতি বছর নতুন করে সংগ্রহ করতে হয়। এছাড়া ধরনের ফসলে পানি, সার বা অন্যান্য সুবিধার প্রয়োজন হয় তুলনামূলক বেশি। ফলে পণ্যটির উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তবে ভারতে শ্রমিক প্রাপ্যতা সহজলভ্য সস্তা হওয়ায় খরচের মাত্রা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে। এর বিপরীতে অন্যান্য দেশ সাধারণ জাতের তুলা আবাদ করে। এতে হাইব্রিডের তুলনায় খরচ কম হয়। এছাড়া এসব দেশ কৃষিপণ্যটি আবাদে হাই ডেনসিটি প্লান্টিং বা এইচডিপি (উদ্ভিদের ঘনত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়া) পদ্ধতিতে তুলা চাষ করে। তুলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে পদ্ধতি খুবই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এইচডিপি পদ্ধতি হাইব্রিডের তুলনায় পণ্যটির হেক্টরপ্রতি উৎপাদন সক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, তুলার উৎপাদন সক্ষমতায় ভারতের পিছিয়ে পড়ার এটা অন্যতম কারণ। সূত্র: দ্য হিন্দু

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন