রাজধানী ঢাকার আফতাবনগরের একটি বাসা থেকে গতকাল
রোহিঙ্গা নারী পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৩-এর সদস্যরা। এ সময় ১৩ রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা
ক্যাম্প থেকে নারীদের ঢাকায় নিয়ে আসছে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। পরে পাসপোর্ট
অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাদের দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী পাসপোর্ট। এরপর
তাদের উচ্চমূল্যে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
র্যাব-৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফাইজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মানব পাচার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কিছু দালাল শ্রেণীর লোক ও অসাধু
পাসপোর্ট কর্মকর্তা তাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট করে দিচ্ছে। এরপর তাদের পাচার করা
হচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, র্যাব-৩ আগে থেকেই মানব পাচারবিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে
আফতাবনগরের ২ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে কবির আহমেদ ও এমরান
নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে কবির আহমেদের বাড়ি কক্সবাজার ও এমরানের
বাড়ি টেকনাফে। অভিযানে ১৩ রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের বিদেশে পাচারের
জন্য ওই বাসায় রাখা হয়েছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, আফতাবনগরের বাসাটি সাত মাস
আগে কবির ভাড়া নেন। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারীদের সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে
আসেন। পরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করে তাদের মালয়েশিয়া, দুবাইসহ কিছু দেশের ভিসা সংগ্রহ করে উচ্চমূল্যে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের
কাছে বিক্রি করে দেন।